মধ্যপ্রদেশে মধুচক্রের মামলায় গ্রেফতার করা হল এক ট্যাবলয়েড মালিককে। ইন্দোরের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের আধিকারিকরা জিতু সোনি নাম ওই ব্যক্তিকে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করে। নিজের পত্রিকায় বিভিন্ন সেক্স ভিডিও ও অডিও টেপ প্রকাশ করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন জিতু। সেই মামলার তদন্তের এবার গ্রেফতার করা হল পত্রিকা মালিককে।
গত একমাস ধরে জিতু খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল ইন্দোরের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ। মধ্যপ্রদেশের সানঝা লোকস্বামী সংবাদপত্রের মালিক তথআ হাইপ্রফাইল ব্যবসায়ী জিতুকে শেষ পর্যন্ত তাঁর দেশের বাড়ি গুজরাতের আমরেলি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার ৪ দিন আগেই জিতুর দাদাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের মোস্ট ওয়ান্টের্ড ম্যান জিতু সোনির বিরুদ্ধে গত ৬ মাসে ৬০টিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। ২০১৯-২০ সালে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জমানায় বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে তার বিরুদ্ধে চার ডজনেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। জিতুর সন্ধান দিতে পারলে দেড় লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
ব্যবসায়ী জিতু সোনি মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখে চলার চেষ্টা করেছিল । যার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল, জমি অধিগ্রহণ, ধর্ষণ, মানুষ পাচার, জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত হানি ট্র্যাপ ফাঁস করতে গিয়েই বেকায়দায় পড়লেন এই ব্যবসায়ী
ইন্দোরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সোনি ২০১৯ সালে নিজের পত্রিকায় একাধিক যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস করে শিরোনামে আসেন। মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে পুলিশ-আমলা সকলের গুণকীর্তিই ফাঁস করে দেন তিনি। সোনির ট্যাবলয়েডে মধুচক্রের ব়্যাকেটে হাই-প্রফাইল টার্গেটের সঙ্গে মহিলাদের কথোপকথন ফাঁস করা হয়। এমনকি বেশকিছু গোপন কথোপকথনের অডিও ক্লিপও একটি ইউটিভব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়। তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ।
সোনির বিরুদ্ধে একাধিক ক্রিমিনাল কেস দায়ের হয়। ইন্দোরে তাঁর বিশাল ব্যবাসিয়ক সাম্রাজ্য এবং প্রাসাদের মত বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর ছেলে ও ম্যানেজারকে। এরপরেই গুজরাতে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ও তাঁর দাদা। এতদিন পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন দু'জনে। গুজরাতের রাজকোট, আহমেদাবাদ ও আমরেলি ছাড়াও মুম্বই শহরতলীতেও বেশকিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন দুই ভাই। জিতু সোনি ও তাঁর দাদাকে খুঁজত ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ১২টি দল নামানো হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন ডিআইডি ইন্দোর এইচএন চারি মিশ্র।