Manipur: মণিপুরে আবারও অশান্তি, ছুটিতে ভারতীয় সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে হত্যা

মণিপুরের তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় একদল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী।

 

Saborni Mitra | Published : Sep 17, 2023 4:04 PM IST

আতঙ্কের মণিপুর। এবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক জওয়ানকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জওয়ান ছুটি কাটাতে নিজের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হন তিনি। নিহত জওয়ান মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল পূর্ব জেলার খুনিংখেক গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কাংপোকপি জেলার লেইমাথং সেনাবাহিনীর ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পসের সদস্য। তাঁর নাম সার্তো থাংথাং কোম।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে মণিপুরের তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় একদল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। তাদের সঙ্গে ছিল পর্যাপ্ত অস্ত্র। সার্তোকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেনা জওয়ানের বাবা জানিয়েছেন, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে একটি সাদা গাড়িতে করে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বাবা-ই এই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানিয়েছেন তিন থেকে চার জন অস্ত্রধারী শনিবার তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। রবিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

ইম্ফলের পূর্বের মাংজামের পূর্বে খুনিংথেক গ্রাম থেকে ভারতীয় জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর ভাই ও শ্যালক দেহ সনাক্ত করেছেন। সেনা জওয়ানের মাথায় বুলেটের ক্ষত ছিল। সেনা জওয়ান তাঁর স্ত্রী , এক মেয়ে ও এক ছেলেকে রেখে মারা গেলেন। সেনা বাহিনী জানিয়েছে পরিবারের ইচ্ছে অনুসারেই সেনা জওয়ানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পরিবারকে সম্পূর্ণ সাহায্য করা হবে। ইতিমধ্যেই সেনা বাহিনীর একটি দল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান হয়েছে।

গত তিন মে থেকে জাতিগত হিংসায় উত্তপ্ত হচ্ছে মণিপুর। ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিদের সঙ্গে পাহাড়ের দখলদদার কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে। এই পর্যন্ত জাতিগত হিংসায় প্রায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেইতি সম্প্রদায়ের তফশিলি উপজাতির দাবি জানালে প্রতিবাদে সরব হয় কুকি সম্প্রদায়। তাতেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাহাড়ের দখলদারিত্ব বজায় রাখার জন্য সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছিল সংসদ। কংগ্রেস অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতিও দাবি করেছিলেন। সেই অনুযায়ী মোদী বিবৃতিও দিয়েছিলেন। যদিও বিরোধীরা তার আগেও সংসদের অধিবেশন বয়কট করে।

 

Share this article
click me!