আবারও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী
জোর দিলেন স্বদেশী পণ্যের ওপর
দেশের আর্থিক বৃদ্ধি গতি পাবে
প্রয়োজনে একাধিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার
আবারও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ওপরই জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিআইআই-র ১২৫ তম বছর উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে তিনি দেশের শিল্পপতিদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন ভারত অল্প সময়ের মধ্যেই আর্থিক বৃদ্ধি ফিরে পাবে। তার জন্য পাঁচটি জিনিয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তা হল, উদ্দেশ্য, অন্তর্ভুক্তি, বিনিয়োগ, অবকাঠামো আর উদ্ভাবন। তিনি আরও বলেন করোনাভাইরাস আমাদের আর্থিক গতিকে স্লথ করেছে। কিন্তু আমরা আমরা সব বাধা কাটিয়ে উঠে আবারও এগিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাই বাস্তাব যে ভারত বর্তমানে আনলক ১-এ পা রেখেছে। আমরা সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছি। যা শুধু করোনা সংক্রমণের হাত থেকেই আমাদের রক্ষা করবে না। পাশাপাশি দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনতেও সাহায্য করবে। দেশ যেমন সংক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর তেমনই মানব সম্পদ রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি ভারত আর্থিক শক্তিশালী দেশ হিসেবেও নিজেকে তুল ধরবে বলেই তিনি শিল্প মহলকে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলে দ্রুতগতিতে আর্থিক বিকাশের জন্য দেশের প্রয়োজন নিষ্ঠার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন আবারও স্বদেশী পণ্যের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রচুর প্রচুর পণ্যে উৎপাদন করতে হবে। যা দেশে তৈরি হবে। কিন্তু বিদেশের বাজারে যাতে তার চাহিদা বৃদ্ধি পায় সেই দিকেও নজর দিতে হবে। আমদানি কমিয়ে রফতানির ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কারের অর্থ এই নয় যে শুধু সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। বিনিয়োগ আর ব্যবসার অনুকূল পরিষেব তৈরির জন্য দেশ ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই মহাকাশ গবেষণায় বিদেশী বিনিয়োগের পথ প্রসস্ত করা হয়েছে। যাতে লাভবান হচ্ছে দেশ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ক্ষুদ্র, কুটীর ও মাজারি শিল্পের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এমএসএমইরাই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই এদের জন্য সর্বাধিক সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে পরিবর্তন করা হয়েছে সজ্ঞারও। বিশ্বের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি দেশের শিল্পপতিরদের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করুন। ধারনাকে আরও বিস্তারিত করুন। পরিকাঠামোগত সংস্কার গড়ে তুলুন। নিজের ওপর বিশ্বাস বাড়ান। তাহলেই সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাবলম্বী ভারত গঠনের পথে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।