মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতে চলেছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে ইউজিসি। সেজন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিশেষ ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
এতদিন অফিস-কাছারির ক্ষেত্রেই মূলত শোনা যেত মাতৃত্বকালীন ছুটির(maternity leave) কথা। এদিকে আমাদের দেশে পড়ুয়া থাকাকালীন সময়েই বিয়ে হয়ে যায় একটা বড় অংশের ছাত্রীদের। এমনকী উচ্চশিক্ষায় আলোয় জীবনকে মেলে ধরার আগেই জীবন ভরে ওঠে মাতৃত্বের স্বাদে। তবে তার জন্য অনেক সময়ই ক্ষতি হয় পড়াশোনার। অবার অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি মা হয়ে উঠতে গিয়েই পড়াশোনারও ক্ষতি হয়ে যায় একটা বড় অংশের ছাত্রীদের। এবার এই সমস্যা কাটাতেই সরাসরি মাঠে নামল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(University Grants Commission) বা ইউজিসি(UGC)। এবার মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতে চলেছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও(College-University student)। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে ইউজিসি। সেজন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিশেষ ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এই নয়া নির্দেশিকাকে ঘিরেই সাড়া পড়ে গিয়েছে শিক্ষা মহলে।
নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্টতই জানানো হয়েছে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এবার থেকে পড়াশোনা চলাকালীম সময়েই মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতে পারেন। সেই সঙ্গে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতিতেও দিতে হবে ছাড়। এমনকী ফর্ম ফিল আপ ও অন্যান্য প্রশাসনিক কাজেও বাড়তি সময় পাবেন তাঁরা। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেই। ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) সচিব রজনীশ জৈন। তাতেই তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সন্তানের জন্ম দেওয়া অথবা তাদের লালন-পালনের জন্য এতদিন এমফিল বা পিএইচডি-র ছাত্রীদের ২৪০ দিন মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হত। এখন থেকে যে কোনও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেই যাতে সেই সুবিধা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন-দ্রুত ঘোষণা করতে হবে ভোটের সূচি, ১১ দফা দাবি নিয়ে বিধাননগর পৌরভবন অভিযানে বামেরা
এদিকে এতদিন পর্যন্ত আমাদের দেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স ছিল ১৮। যদিও এখন তা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু আগের সময়সীমার কারণে ছাত্রাবস্থাতেই বহু মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। এমনকী কলেজ ভর্তির পরপরই বিয়ের প্রবণতা সবথেকে বেশি। এদিকে বিয়ের পর তাঁরা মা হলে আর পড়াশুনো চালিয়ে যেতে পারেন না। নিয়মিত ক্লাস করা বা সন্তানকে রেখে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ফর্ম পূরণ করে উঠতে পারেন না তাঁদের অনেকেই। যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ। সেই প্রবণতা রুখতে এই উদ্যোগ। তবে এই ইউজিসি যে এই ধরণের কোনও কাজ করতে পারে সেই ইঙ্গিত বিগত কিছু মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে এল নির্দেশিকা।