
ভারতের বেশ কয়েকটি অংশের বিমানঘাঁটি ও অন্যান্য অংশের সামরিক ক্ষেত্রে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে সেই দাবি প্রত্যাক্ষাণ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, পাকিস্তান সরকার একাধিক মিথ্যা দাবি করেছেন। ভারতের প্রত্যাঘাতের কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, চাকলালা ও রহিম ইয়ার খান নামে পাক বায়ু সেনার এয়ারবেসে ভারত হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও সুক্কুর, চুনিয়ায় পাক সেনা ঘাঁটি পাসরুর ও সিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটিতেও ভারত হামলা চালিয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে যে ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ু সেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালান হয়েছে বিদ্যুৎ পরিকাঠামোগুলিতে। বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে সেই দাবি প্রত্যাক্ষান করা হয়েছে। দুই মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই দাবিগুলি সবই ভুয়ো। এগুলি ছড়ানো হচ্ছে। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলেও খবর ছড়াচ্ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, 'কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।'
বিদেশ মন্ত্রক ও সেনার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের আক্রমণ জারি। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে। ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে গোলাবর্ষণ চলছে। অধিকাংশ হামলায় ভারত নিষ্ক্রিয় করেছে। আদমপুর, উধমপুর, ভাতিন্ডার মতো কিছু কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শ্রীনগর, অবন্তিপুর, উধমপুরে চিকিৎসাকেন্দ্র, স্কুলগুলিকে নিশানা করেছে পাকিস্তানি সেনা। হাই স্পিড মিসাইল ছোড়া হয়েছে।'
নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনার সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছ। পাকিস্তানও সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে বলে বৈঠকে জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে কর্নেস সোফিয়া জানিয়েছেন, পঞ্জাবে বায়ু সেনা ঘাঁটিতে রাত ১টা ৪০ মিনিটে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। ছোঁড়া হয় মিসাইল।