গত শুক্রবার সংসদে উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য। মোদী সরকারের জমানায় গত পাঁচ বছরে পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে এক কোটিরও বেশি গাছ কাটার খতিয়ান পাওয়া গিয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণ গাছ কাটা হয়েছে উন্নয়ন প্রকল্পে।
শুক্রবার লোকসভায় একটি সওয়াল জবাব পর্বে, রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মন্ত্রকের তরফেই প্রায় ১,০৯ কোটি গাছ কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণে গাছ কাটা হয়েছে ২০১৮-১৯ সালে গাছ কাটার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি, যার সংখ্যাটা প্রায় ২৬.৯১ লক্ষ।
মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আরও জানান, জঙ্গলে দাবানলের কারণে ঠিক কত পরিমাণ গাছ নষ্ট হবে তার ডেটা রাখা তাঁর মন্ত্রকের দায়িত্বে নেই। তবে এদিন বাবুল সুপ্রিয় জানান, বিভিন্ন আইনের পথ ধরেই একাধিক উন্নয়নমুলক কাজের জন্যই বৃক্ষচ্ছেদন করা হয়েছে।
তবে মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৪-১৫ সালে ২৩.৩ লক্ষ, ২০১৫-১৬ সালে ১৬.৯ লক্ষ, ২০১৬-১৭ সালে ১৭.০১ লক্ষ এবং ২০১৭-১৮ সালে ২৫.৫ লক্ষ গাছ কাটা হয়েছে। বাবুল আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে গ্রিন ইন্ডিয়া মিশনের আওতায়, ১২টি রাজ্যে গত চার বছরে বিকল্প শক্তি নিয়ে কাজ করা হয়েছে। প্রায় ৫৬, ৩১৯টি বাড়িতে বিকল্প শক্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আর এর পরই কংগ্রেসের তোপের মুখে পড়েছে শাসকদল। গত পাঁচ বছরে প্রায় এক কোটি গাছ কাটার খবরে কার্যত তাজ্জব কংগ্রেস শিবির। তাঁদের দাবি, 'এইভাবেই বিজেপি আমাদের ভবিষ্যত নষ্ট করছে'।