প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি চন্দ্রযান-৩ যেখানে অবতরণ করেছে সেই স্থানটির নাম শিব শক্তি পয়েন্ট বলে নামকরণ করেছেন। চাঁদের ওই এলাকার নামকরণের পর স্বামী চক্রপাণি মহারাজ এখন চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যের পর, গোটা বিশ্ব ভারতের বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার থেকে আসা তথ্যের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে চাঁদ নিয়ে অদ্ভুত দাবি করেছেন এক সাধু। তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশ তার অধিকার জাহির করার আগে চাঁদকে হিন্দু জাতি হিসেবে ঘোষণা করা উচিত ভারতের। তবেই চাঁদের ওপর ভারতের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
প্রকৃতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি চন্দ্রযান-৩ যেখানে অবতরণ করেছে সেই স্থানটির নাম শিব শক্তি পয়েন্ট বলে নামকরণ করেছেন। চাঁদের নামকরণের পর অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি স্বামী চক্রপাণি মহারাজ এখন চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
গাজওয়া-ই-হিন্দ বানাবেন না-চক্রপাণি
তিনি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে বলেছেন যে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাই চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ স্থানটিকে শিব শক্তি পয়েন্ট হিসাবে নামকরণ করার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমি চাই, অন্য কোনো মতাদর্শের মানুষ বা অন্য দেশের মানুষ সেখানে গিয়ে যেন গাজওয়া-ই-হিন্দ না করে। তাই খুব দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বাস্তবায়ন ঘটানো উচিত। সংসদ থেকে প্রস্তাব পাস করে চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা উচিত, যাতে কোনও ভাবেই অন্য কোনও ধর্মের মানুষ সেখানে গিয়ে নিজেদের অধিকার না ফলাতে পারে। চাঁদ হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হলে, তার রাজধানী করা হোক মোদীর নামকরণ করা এলাকা শিবশক্তি পয়েন্ট।
হিন্দু সনাতন রাষ্ট্র
চক্রপাণি মহারাজ আরও বলেন, চাঁদে অন্য কেউ জিহাদ করতে যাওয়ার আগে, সেখানে গিয়ে উগ্র মতাদর্শ ছড়াতে, সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর আগেই ভারতের উচিত চাঁদকে হিন্দু সনাতন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা। হিন্দু মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা হলে এই ভয় আর থাকবে না।
চন্দ্র ভগবান শিবের মাথায় বসে আছে
তিনি বলেছিলেন যে এর রাজধানী হওয়া উচিত শিব শক্তি পয়েন্ট, কারণ চাঁদ ভগবান শিবের মাথায় বসে। একইভাবে চাঁদের সঙ্গে হিন্দু সনাতনীদেরও পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ধর্মগ্রন্থে চাঁদের অনেক উল্লেখ রয়েছে। আমি চাই চাঁদের পবিত্রতা ও নিষ্কলুষতা বজায় থাকুক। তাই প্রস্তাব এনে চাঁদকে হিন্দু সনাতন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার সাতসকালে ইসরোয় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন মোদী চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণস্থলের নাম রাখলেন 'শিবশক্তি'। শুধু তাই নয় ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ চাঁদের যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল, সে জায়গারও নামকরণ করলেন তিনি। সেই জায়গার নামকরণ হল তেরঙ্গা। এছাড়া চন্দ্রযান-৩ এর ঐতিহাসিক সাফল্যের দিনটিকে আরও স্বরণীয় করে রাখতে ২৩ অগাস্ট 'জাতীয় মহাকাশ দিবস' ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।