
মধ্যপ্রদেশের মহৌ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মহম্মদ জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকীর পরিবার এবার বাড়ি ভাঙার চূড়ান্ত নোটিশ পেল। ২০০০ সালের গোড়ার দিকেই মহৌতে তাদের পৈত্রিক বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই বাড়িটি তারা ছেড়েও দিয়েছিল।
স্থানীয়ভাবে বাড়িটি মওলানার ভবন নামে পরিচিত। চারতলা বাড়িটি জাওয়াদের বাবা প্রয়াত মহম্মদ হাম্মাদ সিদ্দিকীর ছিল। ১৯৯০ সালে এই ভবনটি তৈরি হয়েছিল। এটিতে ২৫টিরও বেশি জানালা ও একটি বিশাল বেসমেন্ট রয়েছে। এটি কায়স্থ এলাকার অন্যতম নির্দশন হিসেবে রয়ে গিয়েছে।
ক্যানটনমেন্ট ইঞঅজিনিয়ার হরিশঙ্কর কালোয়া নিশ্চিত করেছেন যে মালিক বা দলালদেরকে চূড়ান্ত নোটিশ জারি করা হয়েছিল। কালোয়া ব্যাখ্যা করেছেন, যে ভবনটি প্রয়াত মহম্মদ হাম্মাদ সিদ্দিকীর নামে রয়ে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, মালিকানা যেহেতু হস্তান্তর করা হয়নি তাই পুরো ভবনটি অননুমোদিত হবেই বিবেচিত হবে।
দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণের পর থেকেই শিরোনামে আল ফালাগ বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালই তৈরি হয়েছিল হামলার ব্লু প্রিন্ট। তেমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তারপরই প্রকাশ্যে এল আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাঙার নোটিশ। বোর্ডের এই পদক্ষেপ বহু রাজ্যে জালিয়াতির তদন্তের মধ্যে সিদ্দিকীর পরিবারের যুক্ত থাকার সঙ্গে প্রায় মিলে যায়। এই সপ্তাহের শুরুতেই জাওয়াদের ছোট ভাই হামুদ আহমেদ সিদ্দিকীকে হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫০। ২০০০ সালে মাহুতে একাধিক বিনিয়োগ জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত সে। পুলিশের অভিযোগ হামুদ প্রচুর টাকা রিটার্ন পাইয়ের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচুর মানুষের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে।