না বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না এমটিএনএল ও বিএসএনএল-কে। দীর্ঘদিন ধরে লাভের মুখ না দেখা এই দুই সরকারি টেলিকম পরিষেবা সংস্থার বেসরকারিকরণের জল্পনা বাড়ছিল। বুধবার, এই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানালেন মন্ত্রীসভায় বিএসএনএল ও এমটিএনএল দুই সংস্থাকে একসঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই দুই সংস্থাকে চাঙ্গা করতে মোট চার দফা পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রথম, বিএসএনএল-এর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে এমটিএনএল-কে। তার আগে পর্যন্ত বিএসএনএল-এর সহায়ক সংস্থা হিসেবে কাজ করবে এমটিএনএল।
দ্বিতীয়ত, প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে মোট ২৯,৯৩৭ কোটি টাকা লগ্নি করা হবে এই দুই সংস্থায়। সভেরিন বন্ডের পরিমাণ ১৫০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আর আগামী চার বছরে ৩৮,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রি করে তাকে নগদ অর্থ পরিণত করা হবে।
তৃতীয়ত, বিএসএনএল ও এমটিএনএল-এর জন্য ফোরজি স্পেকট্রাম অনুমোদন করা হবে। ২০১৬-এর মূল্য়েই এই ফোরজি স্পেকট্রাম অনুমোদিত হবে।
এছাড়া, দুই সংস্থার একসঙ্গে জুড়ে যাওয়া মানে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই হবেন। তাঁদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাবসরের আকর্ষণীয় প্যাকেজ দেবে। দুই সংস্থার কর্মীরাই এই প্যাকেজ পাবেন। আপাতত ঠিক করা হয়েছে ৫৩ বছর ৬ মাসলের বেশি বয়স যাদের তাঁরা স্বেচ্ছাবসর নিলে ৬০ বছর পর্যন্ত তাঁরা যে বেতন পেতেন, সেই সঙ্গে পেনশন ও গ্র্যাচুইটি মিলে যে অর্থ দাঁড়ায় তার ১২৫ শতাংশ সম্মান দক্ষিণা হিসেবে দেওয়া হবে।
বেশ কয়েক মাস হল বিএসএনএল কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। ১.৭৬ লক্ষ কর্মীর জন্য মাসে অন্তত ৮৫০ কোটি টাকা লাগে বেতন খাতে। ২০১৯ আর্থিক বছরে ১৪,০০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার। এইবার সরকারের এই চার পদক্ষেপে কতটা ঘুরে দাঁড়ায় এই টেলিকম সংস্থা সেটাই দেখার।