ফের জঙ্গি হামলার মুখে কাশ্মীর
সোপোরে পৌরসভার মিটিয়ে এলোপাথারি গুলি
মৃত এক কাউন্সিলর ও পুলিশ কর্মী
কারা চালালো এই হামলা, খুঁজছে পুলিশ
ফের জঙ্গি হামলার মুখে কাশ্মীর। সোপোরে পৌরসভার মিটিয়ে এলোপাথারি গুলি। মৃত এক বিজেপি কাউন্সিলর ও পুলিশ কর্মী। কারা চালালো এই হামলা, খুঁজছে পুলিশ। সোমবার, বিকেলে উত্তর কাশ্মীরের সোপোর শহরে এক বিল্ডিং কমপ্লেক্সে পুরসভার মিটিং চলাকালীনই হামলা চালালো জঙ্গিরা। এই হামলায় এক কাউন্সিলর ও এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক কাউন্সিলর। তাঁকে শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উত্তর কাশ্মীর জোন পুলিশ সোশ্য়াল মিডিয়ায় জানিয়েছে, সন্ত্রাসীবাদীরা সোপোর পৌর কার্যালয়েই ডুকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করেছিল। ঝাঁঝড়া হয়ে যান কাউন্সিলর রিয়াজ আহমদ। আরও এক কাউন্সিলরের নিরাপত্তার দায়িত্বেছিলেন পুলিশকর্মী শফকত আহমদ। এদিনের ঘটনায় তিনিও শহিদ হয়েছেন।
গুরুতর আহত কাউন্সিলরের নাম শামসুদ্দিন পীর। আরও বেশ কয়েকজন এই হামলায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। শামসুদ্দিন পীর-এর অবস্থা খারাপ হওয়ার তাঁকে শ্রীনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে হামলার পরপরই আক্রমণকারীদের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীরা এখনও ওই এলাকাতেই লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠনই এই হামলার দায় নেয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকেও কারা হামলা চালালো সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অভিযান শেষ হলেই এই হামলার বিষয়ে আরও বিশদ বিবরণ জানানো হবে, বলে জানিয়েছে উত্তর কাশ্মীর জোন পুলিশ।
এদিকে হামলা হয় যে বিল্ডিং কমপ্লেক্স-এ তার পাশেই ওয়েলকিন স্কুলে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা। হামলার পর তারাও আটকে পরে স্কুলে।
সোপোরের পৌর অফিসে জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে টুইট করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সহ-সভাপতি তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। নিহতদের পরিবারের প্রতি তিনি সহানুভূতি জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য চেয়ে প্রার্থনাও করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা করেছেন এই হামলার।