করোনাভাইরাস মহামারি, সাইক্লোন আমফান-এর সঙ্গে কি আসছে আরও বিপর্যয়
বুধবার বেঙ্গালুরুতে রহস্যজনক শব্দ শোনা গেল
যার তীব্রতায় কেঁপে উঠল বিস্তৃর্ণ অঞ্চলের ঘরবাড়ি
শব্দটির উৎস জানা যাচ্ছে না
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ও ওড়িশার কপালে জুটেছে সুপার সাইক্লোন আমফান। বুধবার আবার বেঙ্গালুরু ঘটল এক অত্যন্ত রহস্যজনক ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এদিন বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড অঞ্চলে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ প্রচন্ড জোরে একটি 'বুম' করে শব্দ শোনা গিয়েছে। কয়েকজন জানিয়েছেন, তীব্র ওই 'বুম' শব্দের সঙ্গেই 'বজ্রপাত'-এর মতো শব্দও শুনেছেন। আবার কয়েকজন জানিয়েছে অন্তত পাঁচ সেকেন্ড ভূমিকম্পের মতো থরথর করে কেঁপে উঠেছে তাদের ঘরবাড়ি।
প্রথমে তারা মনে করেছিলেন ভূমিকম্পই। কিন্তু পরে তাদের মনে হয়েছে কোনও জোরালো বিস্ফোরণ ঘটেছে। জানা গিয়েছে, শব্দটি এত জোরে হয়েছে যে, শুধু হোয়াইটফিল্ড এলাকাতেই নয়, বেঙ্গালুরুর কোক টাউন, বিবেক নগর, রামমূর্তি নগর, হোসুর রোড, হ্যাল, ওল্ড মাদ্রাজ রোড, উলসুর, কুন্ডনাহল্লি, কাম্মানাহাল্লি, সিভি রমন নগর, এবং এইচএসআর লেআউট পর্যন্ত এই শব্দটি শোনা গিয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেঙ্গালুরুবাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কী ঘটছে তা জানার জন্য। একজনের তোলা ভিডিওতে ওই শব্দটি শোনাও গিয়েছে। সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
তবে এই শব্দের বিষয়ে একেবারে অন্ধকারে রয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ-ও। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন এবং শব্দটির কারণ অনুসন্ধান করছেন। শহরের কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর অবশ্য পাওয়া যায়নি। তারা ভারতের বায়ুসেনার কন্ট্রোলরুমের কাছে এটি কোনও বিমানের শব্দ কিনা তাও খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছেন।
কর্ণাটকের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা কেন্দ্রের (কেএসএনডিএমসি) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে তারা তাদের বিভিন্ন সিস্টেমগুলি পরীক্ষা করে বোঝার চেষ্টা করছেন, এই শব্দের পিছনে কোনও প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে কিনা। কেএসএনডিএমসি অবশ্য নিশ্চিত ভূমিকম্পের ফলে এই তীব্র শব্দটি তৈরি হয়নি। তারা জানিয়েছে, ওই অঞ্চলটির ভূমিকম্প কেন্দ্রগুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে সবকিছু ঠিকঠাকই রয়েছে।
আশ্চর্যজনক ঘটনা হল এদিন সকালে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর ক্যানবেরা-র বেলকনেন এবং গুঙ্গাহলিন এলাকাতেও একইরকম রহস্যজনক 'তীব্র শব্দ' শোনা গিয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালেও বেঙ্গালুরুতে প্রায় এরকমই একটি শব্দ শোনা গিয়েছিল। ১৭ অগাস্ট তারিখে প্রথমে রাজেশ্বরী নগর এবং পরে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর অন্যান্য অঞ্চলেও এই শব্দের তীব্রতায় বুধবারের মতোই ঘরবাড়ি কেঁপে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই শব্দের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।