ফের এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড উত্তরপ্রদেশে। শনিবার বাহরাইচ জেলার কাতারনিয়াঘাট অভয়ারণ্যের কাছে একটি ঝোপের মধ্য থেকে এক মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহটি সম্পূর্ণ নগ্ন ও দগ্ধ অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশ সুপার গৌরব গ্রোভার জানিয়েছেন, মহিলার মুখ এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ, অ্যাসিড বা অন্য কোনও রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরিচয় এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
কয়েকজন পশুপালক প্রথম লাশটি দেখতে পান। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মহিলার পরিচয় উদ্ধার করার জন্য পোড়া দেহটির ছবিই জেলার সমস্ত থানায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, তাঁদের সন্দেহ মহিলাকে হত্যা করার পরই তাঁর দেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁকে সনাক্ত না করা যায়। একই কারণেই তাঁর পরণের জামা কাপড়ও খুলে নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই সবটা পরিষ্কার হবে। তাঁকে ধর্ষণও করা হয়ে থাকতে পারে। এই মামলার তদন্তের জন্য ডিএসপি-র অধীনে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
হাংজরাবাদ কাণ্ডের পর থেকেই দেহ সনাক্তকরণে অসুবিধা ঘটানোর লক্ষে হত্যার পর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশেরই বিজনোর-এ প্রায় একই ধরণের একটি ঘটনা ঘটেছে। এক ২৮ বছর বয়সী মহিলার দেহাবশেষ মেলে বিজনোর জেলার গজরৌলা শিব গ্রামের এক বাগানে। বিজনোর থানার ওসি জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে প্রথমে বাগানে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে দেহটি একটি খাটে শুইয়ে খাট-সহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।