রাজ্যসভায় গুলাম নবির বিদায়ী ভাষণে কেঁদে ফেললে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী সাংসদের ভাষণে নন্দিত মোদী অমিত শাহ

  • আবেগঘন ভাষণ গুলাম নবি আজাদের 
  • পাকিস্তানে না গেলেও তিনি ভাগ্যবান 
  • চোখের জলে বিদায় জানালেন মোদী 
  • কেন্দ্রের প্রশংসায় কাশ্মীরের সাংসদ 

Asianet News Bangla | Published : Feb 9, 2021 1:28 PM IST

মঙ্গলবার সংসদ বেশ কয়েকটি নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকল। আগামী ১৫ ফেব্রুয়েরি থেকে অবসরে চলে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আদাজ। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিদায় ভাষণে তিনি বলেন পাকিস্তানের যাননি আর সেই কারণেই তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজেকে একজন হিন্দুস্তানি মুসলিম বলে পরিচয় দিতে পেরে গর্ববোধ করেন। এদিন তাঁর ভাষণ পুরোটাই শোনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বিদায়ী ভাষণে গুলাম নবি আজাদ ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী এমন কি অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন তাঁদের সান্নিধ্য পেয়ে তিনি কতটা উপকৃত হয়েছেন। এদিন গুলামনবি আদাজ বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জ্যোতি বসুর সান্নিধ্য পেয়েও তিনি উপকৃত হয়েছেন। চরম ব্যস্ততার মধ্য়ে মোদী ও অমিত শাহ তাঁর অবসরের দিন রাজ্যসভায় উপস্থিত থাকার জন্যেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বলেছেন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে একাধিকবার তাঁর বিরোধ বেধেছে। বিতর্কও হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুই মনে করেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে গুলাম নবি আজাদকে বিদায় জানাতে গিয়ে এদিন কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরেধী সাংসদদের পরিবারের সদস্য হিসেবেই বর্ণনা করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, অবসরে গেলে গুলান নবি আজাদের পরামর্শ তাঁর প্রয়োজন। আগামী দিনেও তিনি তাঁর পরামর্শ চান বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুলাম নবির সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্কের কথাও উত্থাপন করেন। 

অন্যদিকে এদিন রাজ্যসভায়  কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের পিডিপির সংসাদ। তিনি বলেন তিনি একাধিক সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের থেকে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর এলাকায় যে আমলা বসে রয়েছে তাঁরা তাঁদের কথা শোনে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, মোদীর আমলে জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক উন্নয়ন হয়েছে। আগে যেসব মহিলারা জঙ্গল থেকে কাঠ এনে রান্নার কাজ করল তাঁরা এখন গ্যাসে রান্না করেন। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে তাঁরা গ্যাস পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।  
 

Share this article
click me!