কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশে অক্টোবর এই বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন তিনি।
কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (KUSHINAGAR INTERNATIONAL AIRPORT) উদ্বোধন(INAUGURATE) করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PRIME MINISTER NARENDRA MODI)। বিশে অক্টোবর (20TH OCTOBER 2021) এই বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। ১২৫ জন বিশিষ্ট অতিথিও উপস্থিত থাকবেন সেখানে। তাঁদের শ্রীলঙ্কা(SRI LANKA) থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসবে একটি উদ্বোধনী বিমান।
বিমানবন্দরে শ্রীলঙ্কা, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বিমান যাতায়াত করতে পারবে। এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত ক্যাম্পেনের অধীনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর উদ্বোধনের পর মহাপরিনির্বাণ স্তূপ এবং মন্দিরের বৌদ্ধ স্থানে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন যেখানে শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং শ্রীলঙ্কা সরকারের মন্ত্রীরা অংশ নেবেন।
কুশিনগরে একটি পর্যটন প্রচারমূলক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে বৌদ্ধ সার্কিট পরিচালনাকারী প্রধান ট্যুর অপারেটররা অংশগ্রহণ করবেন। বিমানবন্দর তৈরিতে ২০ শতাংশ বেশি পর্যটক রাজ্যে আসবে বলে মনে করছে উত্তর প্রদেশ সরকার। স্থানীয়দের জন্য এটি বেশ কিছু কর্মসংস্থানও তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদী যে কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন, সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া উপস্থিত থাকবেন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি এই সপ্তাহে চালু হবে যাতে ভারতে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীরা খুব সহজেই দেশের নানা স্থানে ভ্রমণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকারের সহযোগিতায় আনুমানিক ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬০০ বর্গমিটার জুড়ে তৈরি হয়েছে। এতে রয়েছে নতুন টার্মিনাল ভবন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের চাহিদা এবং তীর্থযাত্রার কথা বিবেচনা করেই এই প্রজেক্ট শুরু করেছে উত্তর প্রদেশ।
কুশীনগর একটি আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ তীর্থস্থান, যেখানে ভগবান গৌতম বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। বিমানবন্দরটি দেশ -বিদেশ থেকে বৌদ্ধধর্মের আরও অনুগামীদের কুশিনগরে আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে এবং বৌদ্ধ থিম ভিত্তিক সার্কিটের উন্নতি বাড়াবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।। লুম্বিনি, বোধগয়া, সারনাথ, কুশীনগর, শ্রাবস্তি, রাজগীর, সানকিসা এবং বৌদ্ধ সার্কিটের বৈশালী ভ্রমণ কম সময়ে সম্ভব হবে।