মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড়সড় সাফল্য যৌথবাহিনীর। শনিবার গভীর রাতে ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া-বিজাপুর সীমান্তে গুলির লড়াই শুরু হয়। পরে উদ্ধার হয় এক মাওবাদীর দেহ। তবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি দেশি রাইফেল, ৫কেজি আইইডি, একাধিক গ্রেনেড, ওয়াকি টকি, প্যামপ্লেট, অন্যান্য বিস্ফোরক তৈরির করার জিনিস।
একঘন্টা ধরে গুলির লড়াই চলে বলে জানিয়েছেন দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লব। তিনি জানান, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তবে বাহিনীর কোনও সদস্য আহত হননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরকম তল্লাশি অভিযান জারি রাখবে যৌথবাহিনী বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয় মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে। রাজ্য পুলিশের সি-৬০ কমান্ডো এই অভিযান শুরু করে। এই অভিযানেই খতম করা হয় ১৩ জন নকশালকে। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এটাপল্লির কোটমিতে ঘন জঙ্গলের মধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী।
গোপন সূত্রে খবর ছিল একটি বৈঠকের জন্য মাওবাদীরা জমায়েত হতে চলেছে। সেই সূত্র ধরেই হামলা চালায় কমান্ডো বাহিনী বলে জানান গড়চিরৌলির ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সন্দীপ পাটিল। তিনি জানান, জমায়েত দেখতে পাওয়া মাত্রই গুলি চালায় যৌথবাহিনী। পালটা গুলি চালায় মাওবাদীরাও। কমান্ডোরা কেই আহত না হলেও, ১৩ জন মাওবাদী মারা যায়।
এক ঘন্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। বাকি মাওবাদীরা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গড়চিরোলির পুলিশ সুপার অঙ্কিত গোয়েল জানান ঘটনাস্থল থেকে মাওবাদীদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা এলাকা জুড়ে চলছে চিরুণি তল্লাশি।