উদ্বেগের চিত্রটা কিছুতেই বদলানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কমেছিল। ৭৫ হাজারের ঘরে নেমেছিল দৈনিক আক্রান্ত। তবে রাত পোহাতেই সেই পুরনো চিত্র। দৈনিক সংক্রমণ ফের ৯০ হাজারের গণ্ডিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৭০৬ জন। এই নিয়ে টানা ৩৪ দিন বিশ্বের মধ্যে ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ থাকল। ফলে বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী সংখ্যাটা ৪৩ লক্ষ ৭০ হাজার ১২৯। মোট সংক্রমণের নিরিখে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলের থেকে ব্যবধান আরও বাড়ল ভারতের।
করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মঙ্গলবার ১,১০০ পেরিয়েছিল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। বুধবারও সেই ছবির বদল হোল না। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ প্রাণ কেড়েছে ১,১১৫ জনের। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৭৩ হাজার ৮৯০ তে।
এসবের মধ্যে অবশ্য আশার আলো দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাজয়ীর সংখ্যা ৩৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৪৫ জন। ফলে ভারতে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছে ৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৯৪ । সারা দেশে সুস্থতার হার ৭৭.৩১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৭০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার গোটা দেশে ১১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৪৯ কোভিড টেস্ট হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতে ৫ কোটির বেশি করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৪ হাজার ৬৭৭ টি নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে।
গোটা দেশের মধ্যে করোনার এখনও সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে। মারাঠা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার পেরিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশেও মাত্রাছাড়া সংক্রমণ। দক্ষিণের এই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দক্ষিণের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের বেড়ে ৫ লক্ষ ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। অন্ধ্রে করোনায় সাড়ে চার হাজারের কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্ধ্র লাগোয়া তামিলনাড়ু করোনা সংক্রমণে দেশের মধ্যে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। সেরাজ্যে করোনায় এখনো পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ হাজার মানুষের। কর্নাটকেও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে নোভেল করোনাভাইরাস।