
একই ক্যাম্পাসে পর পর দুটি দেহ উদ্ধার, মাত্র মাস তিনেকের ব্যবধান। আগেরবারও মাত্র ২০ বছর বয়সী কম্পিউটার সায়েন্সেরই এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক আত্মহত্যার ঘটনায় সাড়া ফেলেছিলো গোটা ভুবনেশ্বরে। অভিযোগ সহপাঠী ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন বলেই আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী। আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির (কেআইআইটি) হোস্টেলের এক ঘর থেকে ফের উদ্ধার নেপালি ছাত্রীর মৃতদেহ। হোস্টেলের রুমে পাখা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ মেলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়ের তদন্তে নামে। এদিন ভুবনেশ্বর পুলিশ কমিশনার এস দেবদত্ত সিং বলেন "আজ, আমরা খবর পেয়েছি যে KIIT বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপালের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। আমরা সেখানে পৌঁছে বিষয়টি তদন্ত করেছি। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। ফরেনসিক টিম পৌঁছেছে এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃতার পরিবারকেও জানানো হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য এইমস-এ পাঠানো হয়েছে"। তিনি আরও বলেন, মৃতদেহের ময়না তদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত ঘটনাটিকে সন্দেহজনক আত্মহত্যার ঘটনা বলেই বিবেচনা করা হবে।
নেপালের বীরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা এই ছাত্রী। হোস্টেলে থেকেই কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে স্নাতক পড়াশোনা করতেন। এবারের ঘটনাটি ওই ক্যাম্পাসের ফেব্রুয়ারি মাসের আরেকটি ঘটনার কথা মনে করায়। ২১ বছর বয়সী বিটেকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রকৃতি লামসালকেও তাঁর হোস্টেলের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেবার তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে ৫০০ জনেরও বেশি নেপালি শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছিলেন। এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু ছাত্রকে বহিষ্কার করার চেষ্টাও করে। ফলে উত্তেজনা আরও তুঙ্গে উঠলে দলীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পরে।
পর পর দুবার এমন সন্দেহজনক ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এবং এর আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে নেপালের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেজের কারণ রয়েছে।