সোশ্যাল মিডিয়ার হাতছানী নয়, জেন-ওয়াই -এর লক্ষ্যে এখন ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন

  • সোশ্যাল মিডিয়ায় আটকে পড়া নয়,
  • সেখান থেকে ভালো টুকুই বাছাই করে নেওয়া
  • কী বলছে পড়ুয়ারা

Jayita Chandra | Published : May 8, 2019 7:16 AM IST / Updated: May 08 2019, 12:49 PM IST

গোটা বিশ্বজুড়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড় তোলা প্রভাব, ঠিক তখনই নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। সমাজের চারপাশে জ্বালের ন্যায় বিস্তার এই নেট জগতের পাল্লা থেকে বেড়িয়ে আসা বেজায় কঠিন। মানুষের জীবনে প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে এই মিডিয়া, যেখানে বাস্তব সম্পর্কগুলোই ভিত্তিহীন হয়েগেছে সেই সকল মানুষের ক্ষেত্রে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, সামাজিক জীবনের ঠাঁই এখন চায়ের আসর থেকে বেশি এই সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপে। শুধু তাই নয়, মানুষের একাকিত্বের সঙ্গীও বটে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে, তখনই দেশের আগামী প্রজন্ম বেছে নিতে শুরু করল জীবন গড়ার সঠিক পথ।

এবার এই.এস.সি, আই.সি.এস.ই পরীক্ষায় ভালো ফল প্রাপ্ত পড়ুয়ারা সাফ জানিয়ে দিল, যোগাযোগ রাখার জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেইটুকুই সময় তারা কাটায় সোশ্যাল মিডিয়াতে, কেউ কেউ আবার জানায় পরীক্ষা প্রস্তুতিকে ঘিরে বন্ধ করে দিয়েছিল অ্যাকাউন্ট। স্কুলের বন্ধুদের গ্রুপ থাকার দরুণ পড়াশুনার তাগিদে খবর নেওয়া সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ আবার সকল প্রকার প্রলোভনের হাত ছানি এড়িয়ে কেবলই খবর সংগ্রহের জন্যই ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াকে।

এই.এস.সি-তে প্রথম হওয়া দেবাঙ্গ কুমার আগরওয়াল জানান বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যই যেটুকু সোশ্যাল মিডিয়ার স্মরণাপন্ন হওয়া। একই সুরে সুর মিলিয়ে নিকিতা বিজয়কুমার(দেশে তৃতীয়) জানান, যেটুকু না থাকলে নয়, ততটাই থাকা, তাও নিত্যদিন নয়। আই.সি.এস.ই তে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা ছাত্রী অন্বেষা চট্টোপাধ্যায় জানায়, সে ফেসবুক ছেড়ে একবছর হল, এতে তার কোনও আগ্রহই নেই।

ফলে বোঝাই যায় নতুন প্রজন্ম নিজের জীবনকে গোছাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জোড় কদমে, সেখানে কোথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্থ হয়ে পরার বিষয় নেই, সেখান থেকে যৎসামান্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ বা খবরটুকু নিয়েই ইতি টানছে তারা।

Share this article
click me!