
Nitish Kumars photo on womans voter ID : বিহারের মধেপুরা জেলা থেকে এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে যা নির্বাচন কমিশনের কার্যপ্রণালী নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। জয়পালপট্টি এলাকার এক মহিলার নতুন ভোটার কার্ডে তার ছবির পরিবর্তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ছবি ছাপা হয়েছে। রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিক্ষোভের সময় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
ভোটার কার্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি
মহিলার স্বামী চন্দন কুমার সংবাদমাধ্যমের সামনে কার্ডটি দেখিয়ে একে প্রশাসনের বড় ভুল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এটা কোনো সাধারণ ভুল নয় যে একজন ব্যক্তির পরিচয়পত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানো হয়েছে। তিনি একে নির্বাচন কমিশনের গাফিলতি এবং তথ্য ব্যবস্থার ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করেন।
চন্দন কুমার জানান, আড়াই মাস আগে তিনি ডাকঘরের মাধ্যমে তার স্ত্রীর নামে নতুন ভোটার কার্ডের আবেদন করেছিলেন। লিফাফায় নাম, ঠিকানা সবই ঠিক ছিল। কিন্তু কার্ড খোলার পর দেখা যায়, তাতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ছবি রয়েছে। বিএলও-র (ব্লক লেভেল অফিসার) কাছে অভিযোগ জানালে তাকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
চন্দন প্রশ্ন তোলেন, ভোটার কার্ডে কোনো অচেনা ব্যক্তির ছবি ভুলবশত চলে আসাটা বোধগম্য, কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবির এমন ব্যবহার গুরুতর। তিনি বলেন, এটা কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়, বরং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার উদাহরণ।
কর্ণাটকে ছাপা হয় পরিচয়পত্র
উপ নির্বাচন কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার জানান, ভোটার কার্ড কর্ণাটক থেকে ছাপা হয়ে আসে। ভুলে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এসডিও অফিসে বা অনলাইনে 'ফর্ম ৮' পূরণ করে আবেদন করতে হবে। কিন্তু চন্দন কুমার এতে সন্তুষ্ট নন। তিনি ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে, সাধারণ মানুষের পরিচয়পত্রেই যদি এমন ভুল হয়, তাহলে নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য?
এদিকে, এই ঘটনা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা ভোটার কার্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এই ঘটনা কেবল প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়, নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতার উপরও প্রশ্ন তুলেছে।