মধ্যপ্রদেশে হচ্ছে না আস্থা ভোট, ১০ দিনের স্বস্তিতে কমল নাথ

  • ১০ দিনের জন্য স্বস্তিতে কমল নাথ 
  • ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত বিধানসভা অধিবেশন
  • আজ হল না আস্থাভোট
  • তুমুল হৈহট্টোগোল মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় 

Asianet News Bangla | Published : Mar 16, 2020 7:42 AM IST

১০ দিনের জন্য স্বস্তিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। বিধনসভা শক্তিপরীক্ষার জন্য আরও বেশ কিছুদিন সময় পেয়ে গেলেন তিনি। জ্যোতিরাদিত্য দলবলের পরেই ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করেন। তারপরই বিজেপি আস্থাভোটের দাবি তোলে। সেইমত রাজ্যপাল লালজী ট্যান্ডন স্পিকার এনপি প্রজাপতির সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। তারপরই জানান হয়েছিল সোমবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার সম্মিখীন হতে হবে কংগ্রেস সরকারকে। সেইমত তোড়জোড়ও শুরু করেছিল দুই পক্ষ। 

সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায়। রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন এক মিনিটের ভাষণ দিয়েই বিধানসভা ত্যাগ করেন। কিন্তু তার আগে তিনি রাজ্য কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে সংবিধান মেনে চলার পরামর্শ দেন। সেই সময়ই বিধানসভার সম্মান অক্ষুন্ন রাখার স্লোগান উঠতে থাকে। তারই মধ্যে বিধানসভা ত্যাগ করে রাজ্যপাল। তাঁর আগে অবস্য রাজ্যপাল বলেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মর্যাদা রক্ষার জন্য সংবিধানে প্রণিত সমস্ত আইনকে মর্যাদা দিতে হবে।  রাজ্যপাল বিধানসভা ত্যাগ করার পরই সরকার ও বিরোধী পক্ষের বিধায়করা তুমুল হৈহট্টগোল শুরু করে দেয়। তারপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় অধিবেশন। ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। 

কিন্তু এই খেলা শুরু হয়েছিল তারও অনেক আগে। সোমবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনকে একটি চিঠি লিখিছিলেন। সেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল সোমবার যে আস্থাভোট নেওয়ার কথা ছিল তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক। পাশাপাশি রাজ্যপাল স্পিকারের কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে ২২ কংগ্রেস বিধায়ক দলবদল করেছিলেন। তারপরই বিজেপি আস্থাভোটের দাবি জানিয়েছিল। সেই সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যপাল স্পিকারের কাছে আস্থাভোট গ্রহণের আর্জি জানিয়েছিলেন। রাজ্যপালের এই ভূমিকা নিয়েই সরব হয়েছে কংগ্রেস।  

কংগ্রেসের ২২ বিধায়ক পদত্যাগপত্র দিলেও মাত্র ৬ জনের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন স্পিকার এনপি প্রজাপতি। কংগ্রেসের অভিযোগ বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়ে দলের বিধায়কদের ভয় দেখানো হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলে কংগ্রেস সরাসরি নিশানা করেছিল বিজেপিকে। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

বর্তমানে জটিল পরিস্থিতি মধ্যপ্রদেশে। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এই মুহূর্ত সদস্য সংখ্যা ২৩৩। সরকার গঠনের যাদু সংখ্যা ১১২। নিজের দলের ১০৮ জন বিধয়কের পাশাপাশি ৭ নির্দল বিধায়কের সমর্থন ছিল কংগ্রেসের দিকে। কিন্তু ২২ জনের বিধায়ক পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলে সমস্যায় পড়তে হবে কংগ্রেসকে। বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ১০৭। 

Share this article
click me!