কাশ্মীরের বুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও এক সিদ্ধান্ত নিল সেখানকার পুলিশ প্রশাসন। এবার, উপত্যকার বুকে যে কোনও ধরনের প্রতিবাদ মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে কাশ্মীরের পুলিশ। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কিছুদিন চুপচাপ ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। পুজোর উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগে উপত্যকার বুকে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি। যার জেরে সাধারণ জনজীবন ফের একবার নিরাপত্তাহীনতার সামনে পড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই কথায় কথায় প্রতিবাদ মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই এমনই এক প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আব্দুল্লার বোন এবং মেয়ে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশ শেষমেশ ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে। একদিন পরে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে আগেই কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে। এমনকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও ৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সাধারণ মানুষও দেশের সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে। এমনকী, রাশিয়া সফরেও অজিত ডোভাল কাশ্মীর-এর সাধারণ মানুষ এই অবস্থানকে বিশ্ব কূটনীতিক মহলের সামনে তুলে ধরেছিলেন।
এরপরও কাশ্মীরের বুকে দফায়-দফায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ করে হয়েছে চোরাগোপ্তা আক্রমণ। বারবার কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে বিচ্ছিন্তবাদী আন্দোলনে জড়িত হুরিয়েত নেতাদের দিকেও আঙুল তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বলবৎ করেও কাশ্মীরের মানুষের জীবনযাত্রার মান-এর কোনও উন্নতি হয়নি। বরং তাঁরা যে দুঃখ-দারিদ্রের মধ্যে দিনযাপন করছিলেন এখনও সেটাই করছেন। উল্টে একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি, কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী পরিবার বারবার কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন। তাই ৩৭০ ধারা বিলোপ আসলে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের এক নয়া মুক্তি ও উন্নয়নের দিশা বলেই জানিয়েছেন মোদী। এই লক্ষ্যে বহু বাধা সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাই যতই ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে প্রতিবাদ হোক তাতে সরকারকের অবস্থানকে কোনওভাবেই নড়ানো যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।