
বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির জন্য বিল অনুমোদনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণের আবেদনের উপর রায় দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, রাজ্যপাল কোনও বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। হয় সেটাতে সম্মতি দিতে হবে। নয় বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে আইনসভায় পাস হওয়া বিলগুলির বিষয়ে রাজ্যপালদের কাছে কেবল তিনটি বিকল্প রয়েছে: হয় বিলটি অনুমোদন করুন, পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠান, অথবা চূড়ান্ত বিকল্প হিসাবে, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান। তবে, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে কোনও বিল অনুমোদনের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে না, তবে যদি বিলম্ব হয় তবে আদালত হস্তক্ষেপ করবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপিত ১৪টি প্রশ্নের জবাবে মিলেছে। এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল মামলায় রায় দিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালকে বিলটিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।
সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদের অধীনে, রাষ্ট্রপতি আদালতের মতামত চেয়েছিলেন যে রাজ্যপাল, যখন তাঁর সামনে একটি বিল উপস্থাপন করা হয় তখন ভারতীয় সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের অধীনে তাঁর কাছে উপলব্ধ সমস্ত প্রতিকার ব্যবহার করার পরে, মন্ত্রী পরিষদের সাহায্য এবং পরামর্শ দ্বারা আবদ্ধ কিনা।
বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, বিলে সম্মতি না দিলে সেই বিল বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে হবে। কোনওভাবেই বিল পাশের পথে বাধা হতে পারেন না রাজ্যপাল। প্রধান বিচারপতি ছাড়া ওই বেঞ্চে রয়েছেন, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি এএস চন্দরকর। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, রাজ্যপাল যারা সাংবিধানিক পদে রয়েছেন, তাঁদের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
সাধারণত, কোনও রাজ্যের আইনসভায় বিল পাশ হলে তা সম্মতির জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্যপাল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে তা ভারতীয় সংবিধানের ২০০ ধারা অনুসরণ করে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। সংবিধানের ২০১ ধারা অনুযায়ী, কোনও বিল রাষ্ট্রপতির কাছে গেলে তাঁর সামনে দু’টি বিকল্প থাকে— হয় ওই বিলে সম্মতি জানানো, অথবা তা নাকচ করে দেওয়া। কিন্তু এই কাজের জন্য সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে কোনও সময়সীমা দেওয়া হয়নি। তা নিয়েই বার বার বিতর্ক দানা বেঁধেছে।