
সময়ের আগেই ত্রাতা হয়ে আসা বর্ষা এখন বহু রাজ্যের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ক্রমাগত ভারী বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত। গত তিন দিনে অসম, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে বন্যা এবং ভূমিধ্বসের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ বিমানবাহিনী এবং অসম রাইফেলসকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে মোতায়েন করা হয়েছে।
সিকিমে ১,২০০ এর বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন
উত্তর সিকিমে ১,২০০ এর বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। রবিবার তাদের উদ্ধার করার কথা ছিল কিন্তু নতুন ভূমিধ্বসের কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। মুনশিথাং-এ ২৯ শে মে একটি গাড়ি তিস্তা নদীতে পড়ে যায়, যাতে থাকা ৮ জন পর্যটক এখনও নিখোঁজ।
১০ টি জেলা হঠাৎ বন্যায় প্লাবিত
মেঘালয়ের ১০ টি জেলা হঠাৎ বন্যা এবং ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যখন ত্রিপুরায় ১০,০০০ এর বেশি মানুষ এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অসমে বন্যার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্যের ১৯ টি জেলার ৭৬৪ টি গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে, যার ফলে প্রায় ৩.৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আজ আরও দুইজনের মৃত্যুর পর অসমে বন্যা এবং ভূমিধ্বসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।
আরও পাঁচটি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত
ডিব্রুগড় এবং নিমতিঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ব্রহ্মপুত্র নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও আরও পাঁচটি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১০,০০০ এর বেশি মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে সর্বাত্মক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি অসম, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন।