লাদাখ ইস্যুতে সংসদীয় কমিটিতে বরফ গলাতে ব্যর্থ বিপিন রাওয়াত, রাহুলের নিশানায় আবারও সেই প্রধানমন্ত্রী

Published : Sep 11, 2020, 09:05 PM IST
লাদাখ ইস্যুতে সংসদীয় কমিটিতে বরফ গলাতে ব্যর্থ বিপিন রাওয়াত,  রাহুলের নিশানায় আবারও সেই প্রধানমন্ত্রী

সংক্ষিপ্ত

লাদাখে সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি ভারত  সংসদীয় কমিটিতে বললেন বিপিন রাওয়াত রাহুল গান্ধী নিজের অবস্থানে অনড় আবারও নিশানা প্রধানমন্ত্রীকে   

পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব ছিলেন রাহুল গান্ধী। একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি চিন ইস্যুতে সরকারকে বিঁধেছেন। বারবারই জানতে চেয়েছেন চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে কিনা। পাশাপাশি চিন ইস্যুতে সরকারের কী পরিকল্পনা রয়েছে তাও জানতে সরব হয়েছেন। শুক্রবার রাহুল গান্ধীর প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলেছে সরকার। তবে রাহুল গান্ধীর মত প্রকাস্যে নয়। শুক্রবার পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সামনে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চিনা সেনা ভারতীয় সেনাদের প্ররোচনা দিচ্ছে। চিন ও ভারত সীমান্তে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। যা দুই দেশের ডিফ্যাক্টো সীমান্ত হিসেবে কাজ করছে। কাকতালীয় হলেও এদিনই প্রথম প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

এদিন বিপিন রাওয়াত আরও জানিয়েছেন দেশের সশস্ত্র বাহিনী সীমান্তে সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে। সীমান্তে স্থিতাবস্থা বা পরিবর্তন আনার জন্য চিনারা বারবারই চেষ্টা করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে। সীমান্ত সেনা দিনরাত সজাগ রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সূত্রের খবর একই সঙ্গে মস্কোতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ও চিনের বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি।

 

কিন্তু এদিনও সোস্যায় মিডিয়ায় চিন ইস্যুতে সরব হন রাহুল গান্ধী। এদিন  সকাল ৮টা আর বিকেল ৪টে নাগাদ দুটি বার্তা দেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তাঁর প্রধান বক্তব্যই ছিল 'চিন আমাদের জমি দখল করেছে, কেন্দ্রীয় সরকার কবে তা ফেরত নেওয়ার কথা ভাবছে।' এরই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনে নিশানা করে বলেন, এটাও কী ঈশ্বরের আইন। কারণ দেশের জেডিপি নেমে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন এটা ঈশ্বরের নীতি। পরবর্তী বার্তায়  রাহুল গান্ধী বলেন ২০২০ মার্চের আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্যই কেবলমাত্র চিনাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকার চিনকে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার দায় নিতে অস্বীকার করেছে। তাই কথাবার্তা মূল্যহীন বলেও মন্তব্য করেছেন রাহুল।

 

জুন মাসে গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লদাখ সীমান্তের উত্তেজনার কথা স্বীকার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তার আগে থেকেই চিনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। বেশ কয়েকজন সমর বিশেষজ্ঞও একই অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছিলেন চিন ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করেনি। কিন্তু তারপরেও তা মানতে রাজি হয়নি বিরোধীরা। অন্যদিকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে এখনও উত্তেজনা রয়েই গেছে। দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের কথা সামনে আসছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একের পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সামাধান সূত্র এখনও রয়েছে গেছে লাদাখের কোনও পাহাড়ের বরফের তলায়। 

PREV
click me!

Recommended Stories

আধারের ফটোকপি জমা রাখা আর বাধ্যতামূলক নয়, নয়া নিয়ম আনছে কর্তৃপক্ষ, জেনে নিন বিস্তারিত
Indigo Flights Cancelled : ইন্ডিগোর বিমান বিভ্রাট অব্যাহত! চরম ভোগান্তি, আকাশপথে জট, রেলপথেই সমাধান!