
গত ২২ এপ্রিল নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যায় ২৬টা পরিবারের জীবন। কারণ একে একে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে গুলি মারা হয়েছিল ২৫ জন হিন্দু পুরুষকে। স্ত্রীয়ের মাথায় সিঁদুর দেখলেই শুট করে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের স্বামীকে। হিন্দুদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মরতে হয়েছিল এক স্থানীয় মুসলিমকেও। এরপরেই প্রতিবাদ মুখর হয়ে পড়ে আপামর ভারতীয়। ক্ষোভে- ফুঁসতে থাকে গোটা দেশ।
ঘটনার পরেই সৌদি থেকে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। বিহার থেকে বলেন “ এর কড়া থেকে কড়া প্রতিসোধ নেবে ভারত।” বন্ধ করে দেওয়া সিন্ধু চুক্তি। পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আপশে রাজি হয়নি ভারত। কিন্তু তখনও অধরা ছিল জঙ্গিরা।
পাকিস্তানের তিন- থেকে পাঁচ জন জঙ্গি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল অনুমান করে NIA। জোর কদমে শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। যারা এই জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবেন তাঁদের ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়। এখনও তদন্ত চালাচ্ছে NIA।
তবে চুপ থাকেনি ভারত। কড়া জবাব দিয়েছে পাকিস্তানকে। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পরের পর জঙ্গি ঘাঁটি। এক লহমায় মুখ বন্ধ করে দিয়েছে জঙ্গিদের।
তবে এই অপারেশনের পরে পাকিস্তান যে সন্ত্রাসীদের তোষণ করে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের কাছে। অবশ্য পাল্টা আক্রমণ চালাতে চেয়েছিল পাকিস্তানও জঙ্গি কাশ্মীর বর্ডারে পরের পর গোলা বর্ষণ করেও লাভ হয়নি। একের পর এক গোলা প্রত্যাহত করেছে ভারতীয় সেনা। টানা চারদিন সংঘর্ষ চলেছিল ২ দেশের মধ্যে। অবশেষে ১০ মে ২ দেশ যুদ্ধ বিরতি মানতে সম্মত হয়।
এই ঘটনার পরে অবনতি হয়েছে ভারত-পাক সম্পর্কে। কিন্তু ২৬ জনের অপরাধিদের খুঁজে না পেলেও পরের পর কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। আর কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদ মেনে নেবে না এই দেশ তা ভালভাবে টের পেয়েছে পাকিস্তান। এখনও তদন্ত চালাচ্ছে NIA>