পরিস্থিতি ঠিক থাকলে অস্ত্র ছাড়াই সেনারা মেলামেশা করবেন উপত্যকাবাসীর সঙ্গে:সেনাপ্রধান

  • নিয়ন্ত্রণ রেখায় কড়া পাহাড়ায় রয়েছে পাক সেনা
  • পাক সেনাবাহিনীর বাড়তি নজরদারি নিতান্তই 'সতর্কতামূলক পদক্ষেপ'
  • এর জন্য বাড়তি উদ্বেগের কোনও কারণ নেই
  • মঙ্গলবার একটি সাক্ষাতকারে এমনটাই বললেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত

Indrani Mukherjee | Published : Aug 13, 2019 8:44 AM IST / Updated: Aug 13 2019, 02:15 PM IST

ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় কড়া পাহাড়ায় রয়েছে পাক সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতি মঙ্গলবার, সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, পাক সেনাবাহিনীর এই বাড়তি নজরদারি নিতান্তই 'সতর্কতামূলক পদক্ষেপ', তাই তা নিয়ে বাড়তি চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বস্ত করলেন তিনি। 

এদিন তিনি আরও জানান যে, প্রতিপক্ষ বাহিনী যদি নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেন তাহলে তাহলে তা একান্তই তাদের ব্যপার। তবে সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়াপ প্রয়োজন পড়ে, তাহলে সেই বিষয়ে তাঁরা সদা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তিনি। সীমান্তে  অতিরিক্ত পাক সেনা নিয়োগের ঘটনায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানান তিনি।  

এদিন সেনাপ্রধান জেনারেল আরও বলেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী  ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ফের একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে জানান তিনি।  তিনি আরও বলেন যে, ৩৭০ ধারা রদ হয়ে যাওয়ার পরও সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের সঙ্গেই থাকবে। তাঁর আরও দাবি, সাধারণ মানুষের জানা দরকার ১৯৭০ ও ৮০-র দশকে ভারতীয় সেনাবাহিনী কীভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলে মিশে একসঙ্গে থাকত। কোনও অস্ত্র ছাড়াই সেনারা সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন এবং তিনি আরও বলেন যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সেনারা আবার সেই সম্পর্কে ফিরে যাবেন।

প্রসঙ্গত ৫ অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত নিয়ে জম্মু ও  কাশ্মীর এবং লাদাখ-কে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

Share this article
click me!