চালু হল করোনা ভ্যাকসিনের সরকারি পোর্টাল, ১০০-র ইতিহাসে পা রাখল আইসিএমআর

কবে আসছে করোনা ভ্যাকসিন? এবার এক ক্লিকেই জানা যাবে গবেষণার খুঁটিনাটি। চালু হল কোভিড-১৯ টিকার সর্বশেষ তথ্য সহ একটি অনলাইন পোর্টাল। সেইসঙ্গে প্রকাশ করা হল আইসিএমআর-এর ১০০ বছরের ইতিহাস।

 

amartya lahiri | Published : Sep 28, 2020 12:57 PM IST / Updated: Sep 28 2020, 06:32 PM IST

করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে তথ্যসম্বৃদ্ধ হওয়াটা অত্যন্ত দরকারি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগে এখন তথ্যের কোনও অভাব হয় না। কিন্তু, সমস্যা হল সেইসব তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করার উপায় নেই। এই অবস্থায় সোমবার, কোভিড-১৯ সম্পর্কে সর্বশেষ সমস্ত তথ্য সহ একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শুধু করোনভাইরাস রোগের সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্যই নয়, এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে কোভিড নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য, ভারতে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলির ক্লিনিকাল ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য, সম্ভাব্য কোন তারিখে টিকাগুলি বাজারে আসতে পারে এবং করোনা সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন তথ্য।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার হর্ষ বর্ধন এই অনলাইন পোর্টালটির উদ্বোধন করে জানিয়েছেন, কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এই অনলাইন পোর্টালটি চালু হওয়ার ফলে প্রত্যেকেই সমসাময়িক ভ্যাকসিন গবেষণার বিকাশ এবং ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সন্ধান করতে পারবেন। দেশে যে টিকাগুলির বিকাশের চেষ্টা হচ্ছে সেগুলি সম্পর্কে তথ্য তো মিলবেই, সেইসঙ্গে অন্যান্য দেশের কাছ থেকে কিনে যে টিকাগুলি সরবরাহ করার কতা রয়েছে, সেই টিকাগুলি সম্পর্কেও এই অনলইন পোর্টাল তথ্য সরবরাহ করবে।

এদিনই স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন দারুণ দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে একটি ভ্যাকসিন বিকাশের জন্য গবেষণা চলছে। দেশে এমন অন্তত ৩টি কার্যকরী সম্ভাব্য টিকা রয়েছে, যেগুলি বর্তমানে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন সম্ভবত ২০২১ সালের প্রথম তিনমাসের মধ্যেই ভারতের প্রথম ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়ে যাবে।

এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর গত ১০০ বছরের সময়কালের ইতিহাসও প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই দিনটি আইসিএমআর-এর জন্য একটি 'ঐতিহাসিক দিন'। এই সংস্থার ইতিহাসের ১০০ বছরের টাইমলাইন প্রকাশ করতে পরে তিনি সম্মানিত বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ১০০ বছর ধরে আইসিএমআর-এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা যে অবদান চিকিৎসা ক্ষেত্রে রেখেছেন তা আগামীদিনের বিজ্ঞানীদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে বলেও জানান ডাক্তার হর্ষ বর্ধন।

 

Share this article
click me!