Operation Sindoor: কোন পথে ভারতের 'এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম' কুপোকাত করল পাকিস্তানকে? ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের কারণ জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

Published : May 14, 2025, 11:43 PM ISTUpdated : May 14, 2025, 11:44 PM IST
Operation Sindoor. (Photo/X@agdpi)

সংক্ষিপ্ত

Operation Sindoor: নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম না করেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে। 

Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই কার্যত, ওলোট পালট হয়ে গেল পাকিস্তান। রীতিমতো পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কোথাও কোথাও পাশ কাটিয়ে আবার কোথাও কোথাও কার্যত, আবার অকেজো করে দিয়ে হামলা চালিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে, ধ্বংস করা হয়েছে একের পর এক ভয়ানক জঙ্গিঘাঁটি। কিন্তু গোটা এই অভিযানে ভারতের কোনও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, "পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুকের মতো যুদ্ধ-প্রমাণিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তথা ব্যাট্‌ল প্রোভেন এডি ব্যবহার করা হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’। সেইসঙ্গে, ব্যাবহার করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ‘আকাশ’। 

‘আকাশ’ আসলে কী? 

একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ক্ষেপণাস্ত্র, যা সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে আকাশপথে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পুরোটাই স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গঠিত। যা দেশের আকাশে কার্যত, অভেদ্য একটি দেওয়াল তৈরি করে দিয়েছিল। আর তার ফলেই পাকিস্তান পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।’’

ভারতের হামলার নিশানায় ঠিক কী ছিল? 

পাকিস্তানের নূর খান এবং রহিমইয়ার খান বায়ুসেনা ঘাঁটিকেই মূলত টার্গেট করা ভারত। এই ঘাঁটিগুলিতে হামলার জন্য ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ ব্যবহার করা হয়েছে ভারতের তরফে। ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ হল এক ধরনের আত্মঘাতী ড্রোন। যা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছে আকাশে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঘুরে বেড়াতে পারে এবং হামলার জন্য সঠিক টার্গেট লোকেশনকে চিহ্নিত করে। 

তারপর সেই ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘কোনও হামলাতেই ভারতের কোনওরকম সম্পত্তি ধ্বংস হয়নি। কারণ, আমাদের টেকনোলজি, পরিকল্পনা এবং নজরদারির কার্যকারিতা অনেক বেশি শক্তিশালী। যা এই পুরো অপারেশন থেকেই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। ভারতের বায়ুসেনা, চিনের তরফে দেওয়া পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পুরোপুরি পাশ কাটিয়েছে এবং অকেজো করে দিয়েছে। সমগ্র অপারেশনটি মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এর থেকেই প্রমাণিত হয়ে যায়।’

তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর যে পাকিস্তানের দিক থেকে প্রত্যাঘাত আসবে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করতে পেরেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী 

সেই অনুযায়ী, বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল আগে থেকেই। ভারতের সীমান্তে তৈরি করা হয়েছিল ‘কাউন্টার আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’, ‘শোল্ডার-ফায়ার্‌ড অস্ত্র, লিগ্যাসি এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন এবং মডার্ন এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন। এককথায় বলতে গেলে, বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ করতে বেজায় সমস্যায় পড়ে যায় পাকিস্তান।

অপরদিকে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাদের কথায়, "ইসরোর ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ অনবরত কাজ করে চলেছে। তাদের সাহায্য ছাড়া সমুদ্র বা ভারতের বিস্তীর্ণ উত্তর ভাগে নজরদারি একেবারেই সম্ভব ছিল না।"

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Babri Masjid Bengal : কেউ পক্ষে, কেউ সরব নিন্দায়! বঙ্গে বাবরি মসজিদ নিয়ে ফাটল খোদ মুসলিম সমাজেই!
ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে বড় বিপর্যয়! ইন্ডিগো একদিনে তার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে