
PM Modi on Opration Sindoor: সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী যে 'অপারেশন সিঁদুর' চালিয়েছিল তার লক্ষ্য হল "মানবতা রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের অভিযান"। যারা ভারতের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাদের একই ভাষায় জবাব দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী 'অপারেশন সিঁদুর' এর প্রশংসা করে বলেন, পাকিস্তানের আগ্রাসনের জবাবে ভারতের পাল্টা আক্রমণ এতটাই জোরালো ছিল যে "তাদের বিমানঘাঁটি এখনও আইসিইউ'তে রয়েছে"।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব এবং সাহসিকতার কারণেই পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের 'জিরো টলারেন্স' নীতি রয়েছে। 'অপারেশন সিঁদুর' আমাদের নীতিকে স্পষ্ট করে তুলেছে। যে কেউ আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তাকে একই ধরণের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে। কোন মূল্যেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। 'অপারেশন সিঁদুর' হল মানবতা রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের অভিযান। আমরা ১৫ দিন অপেক্ষা করেছিলাম দেখার জন্য যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় কিনা, কিন্তু সম্ভবত সন্ত্রাসবাদই তাদের মূল অস্ত্র। যখন তারা কিছুই করেনি, তখন আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অবাধ ক্ষমতা দিয়েছিলাম," প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যারা ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকাবে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের পহেলগাঁও হামলার জবাবে ৭ মে 'অপারেশন সিঁদুর' শুরু হয়। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়, যার ফলে ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়।
পরবর্তীতে ভারত পাকিস্তানের আগ্রাসন প্রতিহত করে এবং তাদের বিমানঘাঁটিগুলিতে বোমা হামলা চালায়। পাকিস্তানের ডিজিএমও তার ভারতীয় প্রতিপক্ষের সাথে কথা বলার পর ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক অভিযান বন্ধ করতে সম্মত হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী স্মরণ করিয়ে দেন যে, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর তিনি বিহারের একটি জনসভায় বলেছিলেন যে সন্ত্রাসবাদীদের শিবিরগুলি ধ্বংস করা হবে। তিনি বলেন, ভারতের লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সদর দপ্তর, এবং সেগুলিতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানা হয়েছে। "এটি দেখায় যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কতটা সক্ষম এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ। আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি যে আমরা আমাদের দেশের ভেতর থেকেই সন্ত্রাসী শিবির, তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারি," তিনি বলেন।
'অপারেশন সিন্দুর'-এর পর ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের 'জিরো টলারেন্স' নীতি তুলে ধরতে বিশ্বজুড়ে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।