২১ অক্টোবর অর্থাৎ, সোমবারই হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র, এই দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যেই বিধানসভা ভোট। বিধানসভা ও লোকসভা ভোট এক না হলেও দেশের অর্থনীতির যা হাল, তাতে বিজেপি সরকারের উপর লোকের আস্থা অটুট তার একটা পরীক্ষা অবশ্যই। ভোটের আগে স্বাভাবিকভাবেই জনমত সমীক্ষাও হয়েছে। এবিপি ও সি ভোটার-এর য়ৌথ জনমত সমীক্ষা কিন্তু হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র - দুই রাজ্যেই দারুণভাবে বিজেপি ও তার জোট সরকারের ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের জনমত সমীক্ষা
২০১৪ সালে এই রাজ্যে বিজেপি জিতেছিল ৪৭টি আসন। ভারতের রাষ্ট্রীয় লোকদল পেয়েছিল ১৯ টি আসন আর কংগ্রেস মাত্র ১৫টি। এবিপি ও সি ভোটারের জনমন সমীক্ষার ফল কিন্তু এবার একেবারে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাদের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৮৩টি আসন। আর কংগ্রেসের আসন সংখ্যা নেমে যেতে পারে মাত্র ৩ থেকে ৪টিতে।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের জনমত সমীক্ষা
মহারাষ্ট্রে ২০১৪ সালে ১২২টি আসন জিতে সর্ববৃহত দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বিজেপি। তারা একক ভাবেই সরকার গড়েছিল। পরে ৬৩ আসন জেতা শিবসেনা সরকারে য়োগ দিয়েছিল। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ৪২টি, এনসিপি ৪১টি। এই বার জোট হিসেবেই ভোট লড়ছে বিজেপি শিবসেনা। জনমত সমীক্ষার ফল বলছে ২৮৮টি আসনের মধ্যে এই জোট পেতে পারে ১৯৪টি আসন। আর কংগ্রেস-এসিপি জোটের ঝুলিতে যাবে মাত্র ৮৬টি আসন।
এই জনমত সমীক্ষা করা হয়েছে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে। অংশ নিয়েছিলেন ২৯ হাজার ৫৫০ জন মানুষ। তারপর থেকে দুই রাজ্যেই এমন কিছু ঘটেনি, যাতে করে মানুষের মন পাল্টে যেতে পারে। তবে হরিয়ানায় বিজেপির পক্ষে বিপুল সমর্থন থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের প্রতি বিশেষ আস্থা নেই রাজ্যবাসীর। মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ তাঁকে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন।