পোষ্যর প্রেমে অমত মালিকের, পরিণামে রাস্তায় ঠাঁই হল জার্মান স্পিৎজ- এর

  • বাড়ির অমতে প্রেমে মনুষ্য সমাজ প্রায়শই বিপাকে পড়ে 
  • তবে প্রেমের জন্য সারমেয় গলা ধাক্কা খেল এমনটা শোনা যায় না
  • আপাতত নেট জগত জুড়ে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই খবর
  • কুকুরের প্রেমে আপত্তি মালিকের তার জন্য বাড়ির বাইরে 

debojyoti AN | Published : Jul 24, 2019 7:05 AM IST

আপনার বাড়িতে কি কোনও পোষ্য রয়েছে? সে কি প্রেম করছে? করলে কী করবেন? ভাবতে থাকুন। তবে তার আগে জেনে নিন এক সারমেয়র কথা। প্রেম করতে গিয়ে তার কি হাল হয়েছে শুনলে অনেক কিছু-ই মনে হতে পারে আপনার। আসলে সমাজে কথাই আছে পহেলা দর্শনধারী পরে গুণ বিচারি। তা প্রেমে-র বাজারে সুন্দর দেখনদারদের যে আলাদা কদর রয়েছে সে তো যুগ-যুগ ধরে প্রচলিত কথা। যে সব প্রেমকাহিনি আজও পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে রয়েছে, সে লায়লা-মজনু-র কথা বলুন বা সিরি ও ফারহা, বা শেক্সপিয়ারের রোমিও জুলিয়েট অথবা আমাদের বাঙালি রবীন্দ্রনাথের অমিত-লাবণ্য অথবা শরৎচন্দ্রের- অচলা-মহেন্দ্র-সুরেশ- এঁরা কেউ কোনও দিন যে কুরুপা ছিলেন এমনটা জানা যায় না। বরং এদের রূপের বহরে যে-ই প্রেমের আগুন স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়েছিল তা নিয়ে নতুন করে চর্চার কোনও দরকার নেই। 

তা সুন্দর দেখতে মানব-মানবী যদি একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন তাহলে সুন্দর দেখতে সারমেয়-রও তো সমাজে একটা বাজারদর থাকার কথা। আর সেটাই হয়েছে একটি সুন্দর সারমেয়র সাথে, যার জাত আবার পমেরিনিয়ান, যাকে অনেকে আবার জার্মান স্পিৎজ বলেও জানি, তেমন-ই এক সারমেয় প্রেমের জন্য এখন রাস্তায় ঠাঁই পেয়েছেন। কারণ, এই সারমেয়টি যে বাড়ির সদস্য তারা তাকে দূর করে দিয়েছে। দোষ- সারমেয়-র প্রেমের সম্পর্ক। আপাতত শামিম নামে এক যুবতী, যিনি আবার পিপল ফর অ্যানিম্যালস বা পিএফএ-এর সদস্য, তাঁর কাছেই ঠাঁই পেয়েছে নধরকান্তি ও সুন্দর এই সারমেয়টি। 

তিরুঅনন্তপুরমের এই ঘটনা এখন ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। সকলেই জানতে চাইছে এই সারমেয়র কাহিনি। শামিম জানিয়েছেন, তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে তিনি জানতে পারেন তিরুঅনন্তপুরমের ওয়াল মার্কেট গেটের কাছে একটি পমেরিনিয়ান-কে উদ্ধার করা হয়েছে। যার গলায় একটা বেল্ট পরানো রয়েছে এবং সারমেয়টিকে দেখে মনে হচ্ছে যে ভালো ঘরেই তার বাস। এরপর শামিম জলদি ছোঁটেন সেই সারমেয়-কে উদ্ধার করতে। শামিম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন সারমেয়টি রাস্তার একধারে আধশোয়া অবস্থায় পড়েছিল। ঝকঝকে চেহারার সারমেয়র গলায় থাকা বেল্টটি শামিমের নজরে আসে। ফলে তিনি নিঃসন্দেহ হন এই পোষ্যটি কোনও আর্থিক অবস্থাসম্পন্ন বাড়ির সদস্য। স্থানীয়দের কাছ থেকে শামিম জানতে পারেন, পোষ্যটি পাশের বাড়ির সারমেয়র সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। আর এটা মেনে নিতে না পেরেই বাড়ির মালিক পোষ্যটিকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে গেছেন। 

আপাতত নিজের বাড়িতে ওই সারমেয়টিকে নিয়ে এসে রেখেছেন শামিম। তিনি মালিককেও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। এদিকে, সারমেয় বেঁচারা মনের দুঃখে  বসে রয়েছেন। প্রেমের জ্বালা যে এতটা তা সে বোধহয় আগে বুঝতে পারেনি। মার্জনা করে সারমেয়কে কি ঘরে ফেরাবেন বাড়ির কর্তা না কি তার এই প্রেম এক বিয়োগান্তক পরিণিতির দিকে-ই এগোবে?  

 

Share this article
click me!