
Pahalgam Attack: মঙ্গলবার থেকে তপ্ত কাশ্মীর। পহেলগাঁও-তে পর্যটকদের গুলি করে সন্ত্রাসবাদীরা। বেছে বেছে হিন্দুদের গুলি করা হয়। প্রয়াত হন ২৬ জন। আহত আরও অনেকে। এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে কাশ্মীরে। অধিকাংশ পর্যটক ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।
এদিকে প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাস নাগাদ পর্যটকদের অধিক ভিড় দেখা যায় কাশ্মীরে। ভূস্বর্গের স্বাদ পেতে মোটা টাকা ব্যয় করে কাশ্মীরে ঘুরতে যান। কিন্তু, সেখানের এমন ঘটনায় আতঙ্কিত অনেকেই। কিন্তু, এই পর্যটকদের মধ্যে এমনও অনেকে রয়েছেন, যারা দাবি করছেন, ‘এসেছি যখন ঘুরব’।
মহারাষ্ট্র থেকে কাশ্মীকে ঘুরতে গিয়েছেন কয়েকজন পর্যটক। তাদের মধ্যে দুই মহিলা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পহেলগাঁও-এ জঙ্গি হামলার পর আত্মীয়, পরিচিতের অনেকেই ফিরে আসার জন্য বার বার জোরাজুরি করছেন। মঙ্গলবার যে ঘটনা ঘটেছে তা অবশ্যই ভয় ধরানোর মতো। কিন্তু আমরা ভীত নই।
আবার অনেকে বলেন, ‘কাশ্মীরিদের আতিথেয়তা মুগ্ধ করার মতো। স্থায়ীনদের ওপর ভরসা করা যায়।’ তাঁর কথায়, ‘ওঁদের আতিথেয়তা অতুলনীয়। আর সেই আতিথেয়তার জন্য পর্যটকদের আস্থা, ভরসা অর্জন করেছেন ওঁরা। কাশ্মীরিরা সব সময় পর্যটকদের সাহায্য করেন।’
এক পর্যটক বলেন, আমরা যখন গাড়ি বুক করেছিলাম, ‘চালক কিন্তু ধর্মপরিচয় জানতে চাননি। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর গাড়িচালকই আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন। নিজের পরোয়া না করে নিরাপদে আমাদের হোটেলে পৌঁছে দিয়েছেন।’
এদিকে জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সঙ্গে আহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ থেকে ৬ জন। তারা সেদিন কম করে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। বেছে বেছে হিন্দুদের খুন করা হয়।
কর্নাটকের এক পরিবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথ রাওয়ের। তাঁর স্ত্রী পল্লবী ও পুত্র বেঁচে যান। জঙ্গিদের একজন পল্লবীকে বলে ‘তোকে মারব না। যা মোদীকে গিয়ে বল।’ প্রয়াত হন তিন বাঙালি পর্যটক। একজন বেহালার বাসীন্দা। অপরজন পাটুলিতে থাকতেন। অপরজন পুরুলিয়ার বাসিন্দা।