
উদ্বেগজনক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রসংঘ দ্বারা চিহ্নিত জঙ্গি হাফিজ সইদের নেতৃত্বে পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো বাংলাদেশকে তাদের পরবর্তী অপারেশনাল হাব হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে হামলার জন্য নতুন ফ্রন্ট খোলার ষড়যন্ত্র করছে। ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের খায়েরপুর তামেওয়ালিতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশের ভিডিও রেকর্ডিংয়ে দেখা গেছে, লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-র সিনিয়র কমান্ডার সইফুল্লাহ সইফ বলছেন, "হাফিজ সইদ চুপচাপ বসে নেই; তিনি বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।"
সইফ আরও দাবি করেন যে, এলইটি জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই "পূর্ব পাকিস্তান (অর্থাৎ বাংলাদেশ)"-এ সক্রিয় রয়েছে এবং তারা "অপারেশন সিঁদুর"-এর জন্য ভারতকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমনও তথ্য পেয়েছে যে, সইদ 'জিহাদ'-এর আড়ালে স্থানীয় যুবকদের মৌলবাদী করে তুলতে এবং তাদের জঙ্গি কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। সমাবেশের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সইফ শিশুদের সামনেই প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং শিশুদের জড়িত করা পাকিস্তানের মাটি থেকে ছড়ানো মৌলবাদের বিপজ্জনক গভীরতাকে তুলে ধরে। এর মাধ্যমে ভারতের পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সইফ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরও প্রশংসা করে মিথ্যা দাবি করেন যে, ৯-১০ মে রাতে "ভারতের অপারেশন সিঁদুর"-এর পর তারা প্রতিশোধ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, "এখন আমেরিকা আমাদের সঙ্গে আছে এবং বাংলাদেশও আবার পাকিস্তানের কাছাকাছি আসছে।"
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের প্রচারমূলক দাবির উদ্দেশ্য হলো সমর্থকদের উৎসাহিত করা এবং ভারতের পূর্ব সীমান্তে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি পরিকাঠামো প্রসারিত করার কৌশলগত ইঙ্গিত দেওয়া। বাংলাদেশ-পাকিস্তান যোগসাজশ এখন কড়া নজরদারিতে থাকায়, ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের পথগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে এবং পর্যবেক্ষণ আরও কঠোর করেছে।