মোদীর মুখে ইডেন টেস্ট, পরীক্ষা হলে রাহুল-লক্ষ্মণ হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

  • ব্যর্থতায় অনেকেই ভেঙে পড়েন।
  • কিন্তু প্রতিটি ব্যর্থতাই সাফল্যের এক-একটি ধাপ।
  • আর তা বোঝাতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এল ইডেন টেস্টের কথা।
  • বললেন চন্দ্রযান-২ অভিযানের কথাও।

 

amartya lahiri | Published : Jan 20, 2020 7:57 AM IST

পরীক্ষা পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা গেল ২০০১ সালের ইডেন টেস্টের কথা। পরীক্ষার হলে ছাত্রছাত্রীদের তিনি রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্ণণ হয়ে ওঠার পরামর্শ দিলেন। এদিন নয়াদিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ২০০০ ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী। উদ্দেশ্য, পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীদের মন থেকে পরীক্ষা সংক্রান্ত ভয় দূর করা।

শুরুতেই তিনি জানিয়ে দেন ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মায়েদের যে চাপ বহন করতে হয়, তার কিছু তিনি ভাগ করে নিতে চান। জানান, এখনকার দিনের ফ্যাশন হল 'উইথআউট ফিল্টার'। সেইরকমভাবেই খোলাখুলি তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার মতো করেই শিক্ষার্থীরা কথছা বলুন এমনটাই তিনি চান।

অনুষ্ঠানের এক অংশে তিনি তুলে আনেন ২০০১ সালের ইডেন টেস্ট ম্যাচের কথা। আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যে নিজেকে উৎসাহিত করা যায়, তা বোঝাতেই তিনি ইডেন টেস্টের কতা বলেন। তিনি বলেন একটি ধাক্কা মানেই সাফল্যের পথ থেকে ছিটকে গেলাম, এমনটা নয়। ইডেন টেস্টের শুরুতে ভারতের অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না। কিন্তু, তাও আশা ছাড়েননি রাহুল ও লক্ষ্মণ। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। কাজেই তাঁর মতে, একটি ধাক্কার মানে, সেরাটা এখনও আসা বাকি।

শুধু ইডেন টেস্টই নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রসঙ্গে ইসরোর চন্দ্রাভিযানের কথাও বলেন। তিনি জানান, তাঁকে অনেকেই সাবধান করেছিলেন, চাঁদে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের কোনও নিশ্চয়তা নেই, তাই যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু, তাও তিনি গিয়েছিলেন। বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তিনি ভেঙে পড়া বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দেন। তিনি আরও বলেন, উৎসাহ নিরুৎসাহ - এসব প্রতিটি মানুষের জীবনেই আসে। তবে মনে রাখতে হবে প্রতিটি ব্যর্থতাই সাফল্যের এক একটি ধাপ।

 

Share this article
click me!