নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই বাদল অধিবেশন শেষ হওয়া নিয়ে চলছে জোর বিতর্ক। বিরোধীদের চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাটল মোদী সরকার, ময়দানে নামলেন ৭ মন্ত্রী।
'কুমিরের কান্না না কেঁদে বিরোধী দলগুলির উচিত দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া'। তীব্র তর্ক-বিতর্কের মধ্যে নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই স্থগিত হয়ে গিয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ই নিয়ে বিরোধীদের চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাটল মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার সকালেই ১৫ জন বিরোধী দলনেতাকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বাদল অধিবেশনের এই আকস্মিক সমাপ্তি এবং মহিলা সাংসদ-সহ অন্যান্য সংসদ সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ করে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এরপর, সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা আক্রমণে নামানো হল ৭ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। আর ই পাল্টা আক্রমণের নেতৃত্ব দিলেন অনুরাগ ঠাকুর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, বিরোধীদের বিভ্রান্তিকর এবং হুমকীপূর্ণ আচরণের জন্যই সংসদের অধিবেশন, দুদিন আগেই বন্ধ করে দিতে হয়েছে। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'এই দেশের মানুষ সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের উদ্বেগের সমাধান খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু আমরা সবাই দেখেছি কীভাবে বিরোধী দলগুলি কাজ করতে না দেওয়ায় সংসদ পুরোপুরি বিঘ্নিত হয়েছে। কুমিরের অশ্রু ঝরানোর পরিবর্তে বিরোধীদের লজ্জা পাওয়া উচিত এবং এই দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত'।
অনুরাগ ঠাকুরের আক্রমণের সূত্র ধরেই সংসদীয় বিষয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, 'আগের দিন, কয়েকজন সাংসদ সংসদের টেবিলে উঠে দাড়িয়েছিলেন। তারা নিজেদের নিয়ে গর্ব বোধ করছিলেন। তারা মনে করছিলেন তারা অত্যন্ত ভালো কিছু করেছে। ভিডিও শ্যুট করে পর তারা টুইটও করেছেন'।
আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, 'বিরোধী দলগুলির আচরণ সাংসদ হিসাবে খুবই অনৈতিক। তারা আসবাবপত্র ভেঙেছে, দরজা ভেঙেছে, মন্ত্রীরা যখন তাদের বক্তব্য দিচ্ছিলেন তাদের হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিয়েছে, মার্শালদের সঙ্গে হাতাহাতি করেছে, একজন মহিলা মার্শাল আহত হয়েছেন, তারা আসবাবপত্রের উপর উঠে দাড়িয়েছে, ডেস্ক এবং চেয়ারে লাথি মেরেছে... এই আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তারা গোটা দেশকে লজ্জিত করেছে'।
আরও পড়ুন - ভারতের প্রথম মহাকাশ পর্যটক হতে চলেছেন কেরলের এই ব্যবসায়ী, খরচ করেছেন ১.৮ কোটি টাকা
আরও পড়ুন - Nirbhay Cruise Missile - সফল দেশি ইঞ্জিন, তাও মাঝপথে পড়ে গেল ডিআইডিওর ক্ষেপণাস্ত্র
অন্যদিকে, এদিন সকালে রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, বিনা প্ররোচনায় বুধবার বিরোধী দলনেতাদের এবং সাংসদদের, সংসদের মধ্যেই চূড়ান্ত হেনস্তা করা হয়েছে। েমনকী মহিলা সাংসদদেরও লাঞ্ছনা করা হয়েছে। মার্সালদের পোশাক পরিয়ে বহিরাগতদের দিয়ে সাংসদদের মারধর করা হয়েছে।