
রবিবার রাত থেকে উত্তপ্ত মেঘালয় (Meghalaya)। রাত দশটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী (CM) কনরাড কে সাংমার (Conrad Sangma) থার্ড মাইলের বাড়ি (private residence) লক্ষ্য করে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা পেট্রল বোমা (Petrol bombs) ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। রবিবারই প্রাক্তন এক জঙ্গিকে পুলিশ গুলি করার পরে এই উত্তেজনা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী সাংমার বাড়ির সামনেই একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিলংয়ে দুদিনের কারফিউয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই অস্থির পরিস্থিতিতেই পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাখমেন রিমবুই। মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব বাসভবনে পেট্রল বোমা ছোঁড়া হলেও কেউ আহত হননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সরকারি বাসভবনে থাকেন।
অন্যদিকে, এই কারফিউ পরিস্থিতিতে গোটা শিলং জুড়ে টহল দিচ্ছে সিআরপিএফ। এরই মধ্যে মোউলাই এলাকায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সোমবার এই পরিস্থিতি সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় আধা সামরিক বাহিনীকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। মেঘালয়ের চার জেলায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ৪৮ ঘন্টার জন্য ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পূর্ব খাসি হিলস, পশ্চিম খাসি হিলস, দক্ষিণ পশ্চিম খাসি হিলস ও রি-ভই এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, প্রাক্তন বিদ্রোহী নেতার মৃত্যুর পর শিলংয়ের কিছু অংশে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়। রবিবার শত শত মানুষ কালো কাপড় পরে এবং কালো পতাকা নিয়ে থাংখিউয়ের শেষকৃত্য মিছিলে অংশ নেয়। অনেককে শিলংয়ের রাস্তায় কালো পতাকা নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দেখা গেছে, থাংখিউয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের নিন্দা করতে দেখা যায়।
মাওকিনরোহ পুলিশ ফাঁড়ির একটি পুলিশের গাড়িও রবিবার বিকেলে শিলংয়ের জাইয়াও এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ফাঁড়ির ইনচার্জ অফিসার সহ গাড়িতে থাকা পুলিশ কর্মীরা কোনওক্রমে ঘটনাস্থল থেকে রক্ষা পান।