গোলাপি শহর হিসেবে পরিচিত রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের মুকুটে আরও এক নতুন পালক যুক্ত হল। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্বের ঐহিহ্যমন্ডিত স্থানগুলির তালিকায় যুক্ত হল এই শহরের নাম। আর তারপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট - প্রত্যেকেই দারুণ খুশি।
বর্তমানে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৩তম সম্মেলন চলছে। সেখান থেকেই শনিবার এই ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী এক টুইট করে জানিয়েছেন, সংস্কৃতি ও শৌর্য জয়পুর শহরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই শহরের আতিথেয়তা সারা পৃথিবীর মানুষকে আকর্ষণ করে। ইউনেস্কো এই শহরকে স্বীকৃতি দেওয়ায় তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং-ও এই স্বীকৃতির জন্য জয়পুরের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ইসোক গেহলটের মতে ঐতিহ্য়ের স্বীকৃতি এই শহরের পর্যটনের পালে আরও বাতাস দেবে। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতি হবে। পিছিয়ে থাকেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুন্ধরা রাজেও। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন জয়পুর শহর রাজস্থানের সংস্কৃতির চূড়ামণি। তাই এই স্বীকৃতি প্রত্য়েক রাজস্থানির গর্ব।
২০১৮ সালে মুম্বই-এর ভিক্টোরিয়ান গথিক এবং আর্ট ডেকো এনসেম্বল ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইটের তকমা পেয়েছিল। এইবার জয়পুর শহরকে মনোনয়নের জন্য পাঠানো হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় নিজস্ব শহর পরিকল্পনার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে এই শহরকে তুলে ধরা হয়েছিল। জয়পুরের অন্তর্ভুক্তির ফলে আপাতত ভারতে ইউনেস্কো স্বীকৃতি মোট ৩৮টি হেরিটেজ সাইট হল। এর মধ্যে ৩০টি সাংস্কৃতিক, ৭টি প্রাকৃতিক ও ১টি মিশ্র এলাকা রয়েছে।