দেশের প্রথম সারির প্রাক্তন ২৭ আইপিএস জানিয়েছেন ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পঞ্জাব সফর ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। সেখানে বিক্ষোভকারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কনভয় একটি ব্রিজের ওপর ২০ মিনিট ধরে থেমে থাকা কোনও দুর্ঘটনা হতে পারে না। এটি পঞ্জাব সরকারের অনিচ্ছাকৃত ঘটনা।
পঞ্জাব (Punjab) ইস্যুতে সবর দেশের প্রাক্তন আইপিএস (Ex-IPS) আধিকারিকরা। দেশের প্রাক্তন ২৭ আইপিএস আধিকারিক ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা (PM Modi Security Lapse) ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ramnath Kovind) চিঠি লিখেছেন। পাশাপাশি তাঁরা পঞ্জাব সরকারকেও একহাত নিয়েছেন। দেশের প্রাক্তন আইপিএসদের একটি অংশের দাবি পঞ্জাবের একটি ফ্লাইওভারে ২০ মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় থেমে ছিল এটি কোনও দুর্ঘটনা। এটি পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের একটি অংশ মাত্র। এই ঘটনায় পঞ্জাব সরকারের ইচ্ছেকৃত ত্রুটি ও পরিকল্পিত নিরাপত্তা ত্রুটির জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।
দেশের প্রথম সারির প্রাক্তন ২৭ আইপিএস জানিয়েছেন ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পঞ্জাব সফর ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। সেখানে বিক্ষোভকারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কনভয় একটি ব্রিজের ওপর ২০ মিনিট ধরে থেমে থাকা কোনও দুর্ঘটনা হতে পারে না। এটি পঞ্জাব সরকারের অনিচ্ছাকৃত ঘটনা।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে লেখা প্রাক্তন আইপিএস-দের চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁরা নিজেদের জীবন দিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এজাতীয় নিরাপত্তা ঘাটতি দেখে তাঁরা বিস্মিত। পঞ্জাব একটি সীমান্তবর্তী রাজ্য। সেখানে এজাতীয় ঘটনা নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, পঞ্জাব সরকারের কারসাজিতেই এজাতীয় ঘটনা ঘটেছে। এটি অত্যান্ত লজ্জাজনক ঘটনা বলেও দাবি করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি ফ্লাইওভারে ১৫-২০ মিনিট এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষেই একটি হুমকি।
চিঠিতে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফর ছিল পূর্বঘোষিত। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু এসপিজি সুরক্ষা পান তাই পূর্বনির্ধারিত যে কোনও অনুষ্ঠানেই কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। আগে থেকেই ঠিক করা থাকে যাত্রাপথ। তাই সেই রাস্তায় কী করে বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে। দেশের ইতিহাসে এজাতীয় ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলেও পঞ্জাব সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এটি স্পষ্ট যে সংশ্লিষ্ট ফ্লাওভারে কোনও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছিল না। তাই এটি যে পাঞ্জাব সরকারের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি তা আরও একএবার স্পষ্ট হয়ে যায়। পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়ায়ে এজাতীয় ঘটনা যথেষ্ট নিন্দনীয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে সই রয়েছে বেশ কয়েকজন পঞ্জাবেরও প্রাক্তন আইপিএস-এর।