Narendra Modi On UK Visit: দু-দিনের সফরে ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নমোর এই সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি।।
দু'দিনের সফরে বুধবার ব্রিটেনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৩ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তাঁর এই সফর নির্ধারিত রয়েছে। এদিন লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার লিন্ডি ক্যামেরন।
27
প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিটেনে স্বাগত প্রবাসী ভারতীয়দের
ব্রিটেনে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতা, শিক্ষার্থী এবং সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একদল উৎসাহী জনতা। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সমবেত হয়েছিলেন।
37
প্রধানমন্ত্রীকে দেখে উচ্ছ্বসিত
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি (OFBJP) ডায়াস্পোরা গ্রুপের সভাপতি কুলদীপ শেখাওয়াত বলেন, "এটি দুই সরকারের জন্যই, এবং বিশেষ করে ভারতীয় প্রবাসীদের জন্য একটি দুর্দান্ত অর্জন। এত বছর পর প্রধানমন্ত্রীকে এখানে দেখে তারা সত্যিই উচ্ছ্বসিত। তিনি আবার খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছেন, কিন্তু অন্তত আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানানোর একটা সুযোগ পাচ্ছি।"
এই সফরে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, ভারত-যুক্তরাজ্য ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব (Comprehensive Strategic Partnership - CSP) আরও জোরদার করার উপর নতুন করে জোর দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
57
মোদীর বার্তা
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের সহযোগিতা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, স্থিতিশীলতা (sustainability), স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক (people-to-people ties) সহ বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত।” স্বাভাবিক ভাবেই মোদীর এই ব্রিটেন সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
67
ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্যে নয়া মোড়
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তির অধীনে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রফতানির উপর শুল্ক হ্রাস বা বাতিলের প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে। এর মূল লক্ষ্য হল উভয় দেশের পণ্যকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা। ভারত ও যুক্তরাজ্য উভয়ই ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
77
অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত
ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হচ্ছে, যা সাম্প্রতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের তথ্য থেকে স্পষ্ট। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে, যা উভয় অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।