রাজ্যকে অপরাধমুক্ত করতে পুলিশ গুলি চালাবেই, বিস্ফোরক অসম মুখ্যমন্ত্রী

হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন অসম সরকার অপরাধীদের কোনও রেয়াত করবে না। রাজ্য ৪০০ কোটির মাদক সাম্রাজ্য তৈরি হয়েছে।

Parna Sengupta | Published : Jul 26, 2021 12:20 PM IST

রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা অপরাধ কমাতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে  জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। অপরাধের সংখ্যা কমাতে যে কোনও কঠোর ভূমিকা নিতে পারে পুলিশ। এমনই নীতি রাজ্য সরকারের। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে এমনই কড়া বার্তা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। এদিন অসমের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন উড়তা পঞ্জাবের মত উড়তা অসম তৈরি হয়ে গিয়েছে। 

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন অসম সরকার অপরাধীদের কোনও রেয়াত করবে না। রাজ্য ৪০০ কোটির মাদক সাম্রাজ্য তৈরি হয়েছে। এই অপরাধের শেষ দেখে ছাড়বে রাজ্য সরকার। আইনের আওতায় থেকে পুলিশ সব রকম কড়া পদক্ষেপ করতে পারে। 

উল্লেখ্য, পরপর দুদিন দুই অপরাধীকে গুলি করে অসম পুলিশ। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিরোধীদের দাবি গুলি করার পর পুলিশ প্রতি ক্ষেত্রেই দাবি করছে, যে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা হয়েছিল। তবে এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালাবেই পুলিশ। পুলিশের ওপর অস্ত্রের ব্যবহারও শেখানো হচ্ছে। 

হিমন্ত বিশ্বশর্মা ক্ষমতায় আসার দুমাসের মধ্যে প্রায় ৩৫টি ঘটনায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এনকাউন্টারে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা মোট ১৩। ফলে পুলিশের ভূমিকা ও রাজ্য সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে এ নিয়ে মামলা রুজু করে নোটিস পাঠিয়েছে মুখ্যসচিবকে। নালিশ জমা পড়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও।

রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, গত দু’মাসে ১৮৭৯ জন মাদক সরবরাহকারী গ্রেফতার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২৮ কেজি হেরোইন। রাজ্যে প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকার মাদক সাম্রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে। পুলিশকেও তাই কড়া হাতেই অভিযানে নামতে হয়েছে। জেল থেকে হাসপাতাল, মুদি দোকান থেকে হোম ডেলিভারি সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল মাদক সরবরাহের জাল। আলফা বাদে অন্য জঙ্গি সংগঠনও জড়িত রয়েছে মাদকচক্রে। ফলে বাধ্য হয়েই কড়া ভূমিকা নিতে হয়েছে রাজ্য সরকার ও পুলিশকে। 

Share this article
click me!