প্রশান্ত কিশোর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। কিন্তু তিনিই 'হাউডি মোদী'-তে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন। অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনাটা কৌশলগত এবং স্মার্ট পদক্ষেপ বললেন তিনি। এতে করে পরে ট্রাম্পের সমর্থন পেতে ভারতের অসুবিধা হবেব না।
একাধারে তিনি নীতিশ কুমারের সহযোগী, আবার অন্যদিকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। নিজের এই দো-আঁশলা ভাবমূর্তিটা আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন প্রশান্ত কিশোর। মার্কিন মুলুকে 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাজির করাটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কৌশলগত এবং স্মার্ট পদক্ষেপ বলে দারুণ প্রশংসা করলেন তিনি।
এদিন এক টুইট করে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, সামনেই মার্কিন য়ুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। তার আগে নির্বাচনী ক্ষেত্রে দুর্বল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাউডি মোদী -র মঞ্চে এনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী 'কৌশলগত এবং স্মার্ট পদক্ষেপ' নিয়েছেন। বারতের হাতে যে জনসংখ্য়ার জোর আছে তাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটা অর্থবহ সুবিধের জায়গা আদায় করে নিলেন।
২০২০ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে এই মুহূর্তে জনসমর্থনের দিক থেকে বেশ দুর্বল অবস্থানে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকায় কিন্তু ইন্দো-মার্কিন ভোট ব্যাঙ্ক কম বড় নয়। হাউডি মোদীর নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্প সেই ভোটব্যাঙ্কের অনেকটাই নিজের দিকে টানতে পেরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রশাসনের সময়ই আমেরিকাকে ভারত সবচেয়ে তাছের বন্ধু হিসেবে পেয়েছে। শুধু ট্রাম্পই নয় নরেন্দ্র মোদী নিজেও মঞ্চ থেকে ট্রাম্পের হয়ে ভোট প্রচার করেছেন। এমনকী 'আব কি বার ট্রাম্প সরকার' বলে স্লোগানও তুলে দিয়েছেন। ট্রাম্পকে এমনভাবে ভোটযুদ্ধে সাহায্য করার ফলে এরপর বিভিন্ন ইস্যুতে তার প্রশাসনের সমর্থন পেতে মোদীর সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন প্রশান্ত কিশোর। আর এই লক্ষ্যেই মোদী ট্রাম্পকে তাঁর মঞ্চ ব্যবহার করতে দিয়েছেন। এই কারণেই একে নরেন্দ্র মোদীর 'কৌশলগত এবং স্মার্ট পদক্ষেপ' বলে প্রশংসা করেছেন মমতার পরামর্শদাতা।