"পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আমি দুঃখিত", ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইটবার্তা মোদীর

ক্রমশ আরও ভয়াবহ হচ্ছে পাকিস্তানের পরিস্থিতি। এখন অব্দি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানে এখন অব্দি মৃতের  সংখ্যা প্রায় ১১০০। বাস্তুহারা দেশের মোট জনসংখ্যার এক-সপ্তমাংশ মানুষ। প্রতিবেশি দেশের এই বিপদ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। 
 

Ishanee Dhar | Published : Aug 29, 2022 4:52 PM IST

পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইটবার্তা মোদীর। 
ক্রমশ আরও ভয়াবহ হচ্ছে পাকিস্তানের পরিস্থিতি। এখন অব্দি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানে এখন অব্দি মৃতের  সংখ্যা প্রায় ১১০০। বাস্তুহারা দেশের মোট জনসংখ্যার এক-সপ্তমাংশ মানুষ। প্রতিবেশি দেশের এই বিপদ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। 
সোমবার এই মর্মে একটি টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "পাকিস্তানে  ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আমি দুঃখিত। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার, আহত এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং স্বাভাবিক অবস্থার দ্রুত পুনরুদ্ধারের কামনা করছি।"


এবারের বন্যায় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান।  বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং দক্ষিণ পাঞ্জাব থেকে শাকসবজির সরবরাহ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চর চর করে বেড়েছে খাদ্য শষ্য ও শাকসবজির দাম। বন্যায় সিন্ধুর অধিকাংশ বাগান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনে দাম বাড়বে খেজুর ও কলারও। ইতিমধ্যে বেলুচিস্তান বা অন্যান্য এলাকা থেকে আপেলের সরবরাহও বন্ধ হয়েছে। রবিবার লাহোর বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায় ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়।  আগামী দিনে এই মূল্য আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রেহমান এটিকে "দশকের দানব বর্ষা" বলে অভিহিত করেছেন।

আরও পড়ুনবন্যার জেরে বিপর্যস্ত পাকিস্তান, তবে কি তিন বছর পর ফের মাথা তুলে দাঁড়াবে ভারত-পাক বাণিজ্য সম্পর্ক? \


এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে বন্যার কারণে কমপক্ষে ১,০৬১ জন নিহত এবং ১,৫৭৫ জন আহত হয়েছে।পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, বন্যার কারণে অর্থনীতিতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রভাব পড়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে প্রায় ৯৯২,৮৭১টি বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অবিরাম বৃষ্টি গিলগিট-বালতিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং দক্ষিণ পাঞ্জাব অঞ্চলে ব্যাপক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন"ভারতের প্রতি ন্যূনতম সম্মান থাকলে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করুন", জয়-বিতর্কে শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

Share this article
click me!