প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের আগেই তাঁর নিজের বাসভবনে অধিনামদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর আশীর্বাদন গ্রহণ করেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের আগেই তাঁর নিজের বাসভবনে অধিনামদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর আশীর্বাদন গ্রহণ করেন। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পাশাপাশি তাঁদের হাত থেকে সেঙ্গোল তুলে নেন। এটিকে ব্রিটিশ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবেই দাবি করছে বিজেপি। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ কংগ্রেস। কংগ্রেস জানিয়েছে এমন কোনও ঐতিহাসিক তথ্য নেই যেখানে সেঙ্গোলকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যাইহোক কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে নতুন সংসদ ভবনে স্পিকারের পাশেই রাখা হবে এই সেঙ্গোল। রবিবার অর্থাৎ ২৮ মে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তামিলনাড়ু থেকে এসেছেন অধিনামরা। তাঁরা মোদীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করে মন্ত্র পাঠ করেন। সেইসঙ্গে রাজক্ষমতার প্রকীত সেঙ্গোল তাঁর হাতে তুলে দেন। তাঁরা মোদীর জন্য বিশের কিছু উপহারও এসেছিলেন। সেগুলিও তাঁকে দেন। যাইহোক মোদী তাঁদের আশীর্বাদ চেয়েছিলেন। এই দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন নতুন সংসদ ভবন প্রতিটি ভারতবাসীকে গর্বিত করছে। কনুত একটি কমপ্লেক্সের একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করবেন। যদিও এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের দাবি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দায়িত্বে দেওয়া উচিৎ ছিল দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছিল। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। কিন্তু তারপরেও বিরোধীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
যাইহোক সেঙ্গোলে নিয়েই বিরোধাদের সঙ্গে বিশেষত কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতপার্থক্য তুঙ্গে ওঠে। কারণ বিজেপির দাবি এটির সঙ্গের ভারতের দীর্ঘ যোগ রয়েছে। তামিল ভাষায় একে সেঙ্গোল বলা হয় এবং এর অর্থ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং ঐতিহাসিক। সেঙ্গোল শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'শঙ্কু' থেকে, যার অর্থ শঙ্খ খোল। সনাতন ধর্মে শঙ্খকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। মন্দির ও বাড়িতে আরতির সময় আজও শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। সেঙ্গোলকে এলাহাবাদের একটি যাদুঘরে রাখা হয়েছিল এবং এখন নতুন সংসদ ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। অমিত শাহ বলেছিলেন যে এই সেঙ্গোলটি সেই একই যা স্বাধীনতার সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুকে দেওয়া হয়েছিল। পন্ডিত জওহর লাল নেহেরু ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ তারিখে রাত ১০.৪৫ মিনিটে তামিলনাড়ু আইনের মাধ্যমে সেঙ্গোলকে গ্রহণ করেন। এরপর ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
বিস্তারিত আসছে...