আবাসিক স্কুলের মধ্যেই অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক, অভিযোগ এমনই। মহিলা হোস্টেল সুপারিনটেন্ডেন্টের সঙ্গে পরকীয়া মত্ত ছিলেন তিনি। স্কুলের মধ্যেই দু' জনকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ধরেও ফেলে ছাত্রছাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়ে শনিবার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আর তাঁর প্রেমিকাকে বেধড়ক মারধর করল ক্ষুব্ধ পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘিরে শনিবার তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ওড়িশার বালাসোর জেলার হাসানপুর গ্রামের একটি আবাসিক স্কুলে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজীব লোচনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মহিলা হোস্টেল সুপারের। মাসখানেক আগে স্কুলের মধ্যেই দু' জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে পড়ুয়ারা। তার পরই ঘটনার কথা জানাজানি হয়।
আরও পড়ুন- নেপথ্যে পরকীয়া, একসঙ্গে আত্মত্যার চেষ্টা দেওর-বউদির
আরও পড়ুন- স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পাতায় গৃহবধূকে গণধোলাই
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ,প্রধান শিক্ষক এবং তাঁর প্রেমিকার ঘনিষ্ঠতা স্কুলের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যা স্কুলের পড়াশোনার পরিবেশের উপরেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলছিল। শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা শনিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
প্রথমে স্কুলের প্রধান গেট আটকে প্রিন্সিপালের বদলি দাবি করে পড়ুয়ারা। পরে তাদের অভিভাবকরাও এই বিক্ষোভে যোগ দেন। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা প্রিন্সিপাল এবং তাঁর প্রেমিকাকে হোস্টেল সুপারকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে রাস্তার উপরে নিয়ে যান। তার পর সেখানেই তাঁদেরকে মারধর করা হয়।
ছাত্রছাত্রীদের আরও অভিযোগ, নিজেদের ইচ্ছেমতো স্কুলে চালাতেন অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল এবং হোস্টেল সুপার। ছাত্রীরা অভিযোগ করে, ওই দু' জনের জন্যই স্কুলের পরিবেশ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং সরকারি আধিকারিকরা। তাঁরাই ওই প্রিন্সিপাল এবং হোস্টেল সুপারকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত দু' জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।