ইসলামিক স্টেট-কেই বেছে নিল পুনের যুবতী, কাজে দিল না এনআইএ-র 'ডি-র‌্যাডিক্লাইজড' প্রক্রিয়া

চরমপন্থার শিকড় ছড়িয়েছে অনেক গভীরে

মাত্র ১৫ বছর বয়সেই পড়েছিল জঙ্গিদের খপ্পরে

তারপর তিন বছরে দুইবার তাকে বুঝিয়েছে এনআইএ

কিন্তু, কাজ হয়নি সেই 'ডি-র‌্যাডিক্লাইজড' প্রক্রিয়ায়

 

মহারাষ্ট্রের পুনের এক যুবতী। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই সে পড়েছিল আইএস জঙ্গিদের খপ্পরে। ধরাও পড়ে গিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। দুই-দুইবার তাঁর সংশোধনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, কোনওভাবেই তার মগজের ময়লা ধোয়া যায়নি। ছাড়া পেয়েই সে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের কাছেই ফিরে গিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ।

এনআইএ জানিয়েছে ওই যুবতীর নাম সাদিয়া আনোয়ার শেখ। সে পুনের ইয়ারওয়াড়া-র বাসিন্দা। ২০১৫ সালে প্রথমবার তাকে আটক করা হয়েছিল। সেইসময়, তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। নাবালিকা অবস্থাতেই তার বিরুদ্ধে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে 'র‌্যাডিক্যাল কন্টেন্ট' বা চরমপন্থী বিষয়বস্তু পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল। বিতর্কিত ইসলামি প্রচারক জাকির নায়েক ছিল তার অন্যতম অনুপ্রেরণা। সেইসময়, পুনে অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস, চরমপন্থার রাস্তা ছেড়ে আসার জন্য তাকে অনেক বুঝিয়ে মুক্তি দিয়েছিল। পোশাকি ভাষায় তাকে 'ডি-র‌্যাডিক্লাইজড' করা হয়েছিল।

Latest Videos

কিন্তু সেই মগজ ধোলাইয়ে কোনও কাজ হয়নি। কয়েক মাস পর থেকেই সে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তার চরমপন্থী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছিল। এনআইএ তার উপর নজর রাখলেও তাকে আটক করেনি। পরে ২০১৮ সালে ফের আরেকটি মামলায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল সে। তারাও আরও একবার ওই যুবতীকে সন্ত্রাসবাদের পথ থেকে সরিয়ে আনার জন্য 'ডি-র‌্যাডিক্লাইজড' করেছিল। পরে মায়ের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

মায়ের কাছে অবশ্য সাদিয়া থাকেনি। চরমপন্থাই তাকে টেনেছে। প্রথমে তার কার্যকলাপ শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় চরমপন্থার প্রচারে সীমাবদ্ধ থাকলেও, পরে সে সন্ত্রাসবাদের বেশ গভীরে চলে যায়। আটকের পর সে জানিয়েছে, তার লক্ষ্য ছিল সুইসাইড বম্বার বা আত্মঘাতি বোমারু হওয়া। ২০১৫ সাল থেকেই ইসলামিক স্টেট খোরসান প্রদেশ বা আইএসকেপি, জম্মু ও কাশ্মীরের ইসলামিক স্টেট (আইএসজেকে), আল কায়দা, আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দদের পাকিস্তানি, আফগানিস্তানি এবং শ্রীলঙ্কান শাখার মতো ভয়ঙ্কর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এমনকী ফিলিপাইন্স-এর কুখ্যাত আইএস 'অনলাইন মোটিভেটর' ক্যারেন আইশা হামিদন-এর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল সাদিয়ার।

চলতি বছরের জুলাইয়ে আইএস সম্পর্কিত একটি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সাদিয়া-কে। এনআইএ জানিয়েছে তাকে আর 'ডি-র‌্যাডিক্যালাইজড' করার প্রচেষ্টা করার মানে হয় না। গত সেপ্টেম্বর মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা। তবে সাদিয়ার ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে, জঙ্গিদের চরমপন্থীর শিক্ষা যুব ,সমাজের কত গভীরে গেঁথে যেতে পারে। নাহলে 'ডি-র‌্যাডিক্লাইজড' প্রক্রিয়াতেই কাজ দিত।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'রোহিঙ্গারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক তাই তিনি বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না' বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিমিত্রার
Suvendu Adhikari Live: বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে মহা মিছিল শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
'কলকাতার ম্যাডাম আমাকে হারাতে সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়েছে' নাম না করে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
পুলিশি অভিযানে বড়সড় সাফল্য! উত্তেজনা রানাঘাটে, দেখুন | Ranaghat News Today
‘তৃণমূল কেমিক্যাল দিয়ে আমায় মারার প্ল্যান করছে’ তৃণমূলের চক্রান্ত ফাঁস করলেন অর্জুন সিং! দেখুন