দেশবাসীর নজর ঘোরাতে চাইছে কংগ্রেস। রক্ষা করতে চাইছে রাজবংশকে। আর সেই কারণে শতাব্দী প্রাচিন দলটি এবার হাতিয়ার করেছে কৃষকদের। ক্রমাগত মদত দিয়ে কৃষকদের মধ্যে উস্কে দিচ্ছে ক্ষোভ। এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির মুখপাত্র রাজীব চন্দ্রশেখর। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, গত ৭০ বছরে কংগ্রেস কৃষকদের দিকে কোনও রকম নজর দেয়নি। আর আজ তারা উঠেপড়ে লেগেছে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এক আসল কারণ হল আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড দূর্ণীতি থেকে দেশবাসীর নজর অন্য দিকে রাখতে।
কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বেশ কতগুলি দূর্ণীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল। যারমধ্যে অন্যতম ছিল আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড মামলা। কংগ্রেস জমনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য হেলিকপ্টার কেনা নিয়ে কয়েক কোটি টাকা নয়ছয় বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব একাধিকবার নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে। আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআই আদালতে মামলা চলছে।
বিজেপি মুখপাত্র রাজীব চন্দ্রশেখর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া বার্তার সঙ্গে একটি নোটও দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখলেও বোঝা যাবে কেন কংগ্রেস কৃষি বিল নিয়ে ইউটার্ন নিল। তিনি বলেন ২২ সেপ্টেম্বর সংসদে পাশ হয়েছে কৃষি বিল। ২৮ সেপ্টেম্বর তাতে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। আর ২৬ নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে কৃষকরা। তিনি বলেন ১৮ নভেম্বর রাজীব সাকসেনা আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কেলেঙ্কারিতে কংগ্রেসের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। তারপর থেকেই কৃষি আন্দোলনকে কংগ্রেস হাতিয়ার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। খুব ঠান্ডামাথায় পরিকল্পনা করেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। মদত দিচ্ছে আন্দোলনকারীদের। আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড দূর্ণীতি থেকে দেশবাসীর মদত ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই কাজ করছে কংগ্রেস। দলটির মূল উদ্দেশ্য রাজপরিবারকে রক্ষা করা।
রাজীব চন্দ্রশেখরের পেশ করা নোটে আরও বলা হয়েছে, এজাতীয় ঘটনা কংগ্রসের কাছে নতুন কিছু না। কারণ এর আগে ১৯৮৭ দেশ বোফর্স দূর্ণীতির দিক থেকে নজর ঘোরাতে রাজীব গান্ধী শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। তাকে ভারতের ১২০০ সেনার মৃত্যু হয়েছিল। আর জখম সেনার সংখ্যা ছিল ১ হাজার। তিনি বলেন ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসকে বাঁচাতে সেনাদের সামনে খাড়া করা হয়েছিল আর ২০২০তে খাড়া করা হচ্ছে দেশের অন্নদাতাদের।