লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর ইস্তফায় অনুপ্রাণিত হয়ে একের পর এক রাজ্যে বড় মেজ, সেজ কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার ধুম পড়ে যায়। দলীয় বিধায়কদের ইস্তফায় ইতিমধ্যেই সাধের কর্ণাটকের সরকারটিও হাত'ছাড়া' হয়েছে। ইস্তফা দিয়ে বেড়িয়ে কর্ণাটকের বিধায়কেরা এও দাবি করেন যে তাঁরা নাকি রাহুল গান্ধীর থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ইস্তফা দিয়েছেন! এরকম পরিস্থিতিতে যাকে নিয়ে এত শোরগোল, সেই রাহুল গান্ধী এতদিন দেশেই ছিলেন না। এই সঙ্কটের মুহূর্তে রাহুল গান্ধী দেশ ছেড়ে কোথায় গিয়েছিলেন না জানালেও, কংগ্রেস সূত্রে খবর বৃহস্পতিবারই দেশে ফিরেছেন তিনি।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও পরবর্তী সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণায় আর বিশেষ দেরি করতে রাজি নয়। দলীয় সূত্রে খবর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। সেখানেই পাকাপাকি ভাবে রাহুল গান্ধীর উত্তরসূরি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস সূত্রে দাবি আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই বৈঠকের দিন ঘোষণা করা হতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল খুব শীঘ্রই দেখা করতে চলেছেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে।
বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদী দিল্লির মসনদে ফেরার পরেই রাহুল গান্ধী নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত দলকে জানান। নিরবাচনী ভরাডুবির নৈতিক দায় স্বীকার করে ২৫শে মে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হাজার অনুরোধেও নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও নড়েননি রাহুল গান্ধী। শুধু সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানানোই নয়, তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও 'কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে কর্মরত'- এই শব্দবন্ধনীও মুছে ফেলেন তিনি।
তাঁর বিদেশ সফর চলাকালিন কর্ণাটক সরকারের পতন ঘটেছে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়েও উঠছে হাজারো প্রশ্ন। এই মুহূর্তে কেবলমাত্র মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগড় এবং পুদুচেরিতে রয়েছে কংগ্রেসের সরকার। এমন সঙ্কটঘন অবস্থায় কংগ্রেসের লক্ষ লক্ষ সাধারণ কর্মী সমর্থক তাকিয়ে রয়েছেন দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হন তার দিকে।