ভোট প্রচারে কর্ণাটকে রাহুল গান্ধী, পদ হারিয়ে 'সেই কোলারেই' প্রথম জনসভা কংগ্রেস নেতার

কর্ণাটকের কোলার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন রাহুল গান্ধী। কোলারের জনসভায় ২০১৯ সালে মোদী বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। সেখানে সভায় ৫ এপ্রিল।

 

Web Desk - ANB | Published : Mar 29, 2023 12:07 PM IST

 

সালটা ছিল ২০১৯। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে দিয়ে রাহুল গান্ধী নীরব মোদী ও ললিত মোদী ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছিলেন। বলেছিলেন 'সব চোরেদের পদবী কেন মোদী?' আইনি প্রক্রিয়া কারণে চার বছর পর সেই মন্তব্যের জন্যই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদখারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি আর সাংসদ নন। নিছকই কংগ্রেস নেতা। কিন্তু এবার রাহুল গান্ধী সেই কর্ণাটক থেকেই নতুন করে লড়াই শুরু করছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর রাহুল প্রথম ভোট প্রচারে যাবেন বিজেপির শাসিত রাজ্য কর্ণাটকে। আগামী ৫ এপ্রিল কর্ণাটকে নির্বাচনী সভা করবেন তিনি। আগামী ১০ মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন।

কংগ্রেস নেতা তথা রাহুল ঘনিষ্ট ডিকে শিবকুমার বলেছেন, রাহুল গান্ধী কোলারে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন। সেখান থেকেই তিনি রাজ্যের জন্য নির্বাচনী প্রতার শুরু করবেন। ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী এই কোলারর জনসভা থেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এবার সেখান থেকেই তিনি নির্বাচনী সভা করবেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর রাহুল গান্ধী , প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি বিজেপি ও আরএসএস-র বিরুদ্ধে কর্ণাটকের নির্বাচনী প্রচার থেকে আরও সুর চড়াবেন। তিনি যে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে ইতি টানছেন না তাও প্রায় স্পষ্ট করে দেন কংগ্রেসের এক নেতা।

যদিও রাহুল গান্ধী নিজেই জানিয়েছেন তিনি তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন না। তিনি যা বলেছেন তা ঠিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গৌতম আদানিকে নিয়ে তাঁর প্রশ্নে ভয় পেয়েই সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরেও রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, আদানি ইস্যুতে আবারও প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পাশাপাশি সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে তিনি সাংবাদিক বৈঠকে করেও প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন। আদানিদের সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।

রাহুল গান্ধীর আচরণ নিয়ে একাধিকবার তোপ দেগেছে বিজেপি। জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে দলের ছোটবড় নেতারা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেছেন। কিন্তু এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকেই কেন্দ্রের বিরুধিতা করেছে।

সুরাটের আদালতে রায়ঃ

চিফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট এইচএইচ ভার্মা ২০১৯ সালের দায়ের করা মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তাঁকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিনও মঞ্জুর করেছেন। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁকে উচ্চ আদালতে যাওয়া অনুমতি দিয়েছেন।

সাংসদ পদ খারিজ

শুক্রবার লোকসভা সচবিচালয় জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে লোকসভা থেকে অযোগ্য সাংসদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়াইনাডের সাংসদ হিসেবে তাঁক অযোগ্যতা ২৩ মার্চ ২০২৩ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে। অর্থাৎ তিনি এখন আর সাংসদ নন। তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুরাটেরর আদালত বৃহস্পতিবার মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। মোদী পদবী নিয়ে তাঁর মন্তব্যের অভিযোগে গুজরাটের বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।

Share this article
click me!