পেশায় অটো চালক শঙ্করচন্দ্র সরকার। তিনি তাঁর পরিবরের সদস্যদের প্রাণ বাঁচাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের প্রবেশ করেন।
হিন্দুদের জন্য বধ্যভূমি বাংলাদেশ। শনিবার জিআরপি কর্মকর্তারা ত্রিপুরার ধোলাই জেলার আমবাসা থেকে ১০ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৬ নারী ও একজন শিশু। ধৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর এত অত্যাচার হচ্ছে যে হিন্দুরা আর সেখানে টিকতে পারছে না।
পেশায় অটো চালক শঙ্করচন্দ্র সরকার। তিনি তাঁর পরিবরের সদস্যদের প্রাণ বাঁচাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের প্রবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ধানপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন সীমান্ত পেরিয়ে সারা রাত জঙ্গলে কাটিয়ে তারপর সীমান্ত পেরিয়ে ভোরে ত্রিপুরার আমবাসা থেকে ট্রেনে করে অসমের শিলচলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আবমাসা রেলস্টেশন থেকে গোটা পরিবারকেই গ্রেফতার করে রেলপুলিশ।
তবে ধরা পড়ার পরে শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা কিছুতেই আর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না। এই দেশের জেলে কাটাতে রাজি আছেন। কিন্তু বাংলাদেশে আর কোনও দিন ফিরবেন না। শঙ্কর তার স্ত্রী, সন্তান, ভাই আর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে সীমান্ত পার হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, পেশায় অটোচালক তিনি। কিন্তু এতদিন অটো চালিয়ে সংসার চালাতেন। কিন্তু বর্তামান পরিস্থিতি অটো চালিয়ে সংসার চালান দুঃসাধ্য হয়ে পজ়েছে। তিনি ও তাঁর পরিবার ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়েছেন। তাই জীবন বাঁচাতে এই দেশে পালিয়ে আসেন। তিনি আরও বলেছেন বাংলাদেশ আর সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ নয়।
রেল পুলিশের আধিকারিক পিন্টু দাস জানিয়েছে, তাঁরা গোপনসূত্রের খবর পেয়েছিলেন বাংলাদেশের একটি পরিবার অবৈধভাবে এই দেশে এসেছে। স্টেশনে রয়েছে। তারা স্টেশনে এসেই গোটা পরিবারটিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। রেল পুলিশ জানিয়েছে জেরায় তারা ধোলাই জেলার কমলপুর হয়ে ত্রিপুরায় ঢোকার কথা স্বীকার করেছেন। জানিয়েছে তাদের গন্তব্য ছিল অসমের শিলচর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।