পাইলটের উড়ান আটকে নিজের পথেই কাঁটা বিছালেন অশোক গেহলট, কংগ্রেস সভাপতির দৌড় থেকে বাদ যেতে পারেন

Published : Sep 26, 2022, 06:39 PM IST
পাইলটের উড়ান আটকে নিজের পথেই কাঁটা বিছালেন অশোক গেহলট, কংগ্রেস সভাপতির দৌড় থেকে বাদ যেতে পারেন

সংক্ষিপ্ত

রাজস্থানের রাজনৈতিক সংকটই ঘুরিয়ে দিতে পারে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোড়। কংগ্রেসের সূত্রের খবর কংগ্রেসের পূর্ণমেয়াদের সভাপতি নির্বাচনের দৌড় থেকে বাদ পড়তে পারেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গোহলট।   

রাজস্থানের রাজনৈতিক সংকটই ঘুরিয়ে দিতে পারে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোড়। কংগ্রেসের সূত্রের খবর কংগ্রেসের পূর্ণমেয়াদের সভাপতি নির্বাচনের দৌড় থেকে বাদ পড়তে পারেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গোহলট। 

ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা গেহলটকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড় থেকে বার করে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সনিয়া গান্ধীর দ্বরস্থ হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। রাজস্থানের রাজনীতির জল গেহলটের কারণেই ঘোলা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। আর সেই কারণে মল্লিকার্জুন খাড়গে, মুকুল ওয়াসিনস দিগবিজয় সিং-এর মত প্রথম সারির প্রবীণ নেতারা গেহলটের বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির এক সদস্য বলেছেন, গেহলটের এই আচরণ কখনই দলের একজন নেতা হওয়ার মত নয়। 

রাজস্থানের ৯০ জনেরও বেশি বিধায়ক শচীন পাইলটকে পরবর্তী  মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে রাজি নন। ইতিমধ্যেই তারা ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন। এই ৯০ জনই তাঁদের অশোর গেহলট অনুগামী বলে দাবি করেছেন। আর সেই কারণেই কংগ্রেস বিধায়কদের বিদ্রোহের পিছনে শচীন পাইলটের হাত রয়েছে বলেও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা মনে করছেন। যাইহোক এই বিষয় অবশ্য এখনও কিছুই জানাননি অশোক গেহলট। তিনি নিজেকে ও রাজ্যের কংগ্রেস নেতা কর্মীদের কংগ্রেস ম্যান বলেও দাবি করেছেন। আর বলেছেন সকলেই দলের নেতৃত্বের কথা মেনে চলবে। 

তবে যদিও রাজস্তানের কংগ্রেস বিধায়কদের এই বিদ্রোহে গেহলটের যদি কোনও ভূমিকা নাও থাকে তবুই তাঁর কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দিল্লি যাত্রা যথেষ্টই কঠিন হয়ে গেল। কারণ রাজস্থানের এই বিশৃঙ্খলা ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের আচরণে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতত্ব। 

অন্যদিকে রাজস্থানের রাজনীতিতে স্থিতাবস্থা ফেরাতে কংগ্রেস হাইকম্য়ান্ড সনিয়া গান্ধী অশোক গেহলটের বন্ধু হিসেবে পরিচিত কমল নাথকেই দায়িত্ব দিয়েছেন। কমল নাথ সনিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেছেন রাজস্থান সংকট নিয়ে বিস্তারিত লিখিত রিপোর্ট চেয়েছেন  দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। 

দলেরই একটা অংশ বলছে, প্রথমে অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভাপতি উভয় পদেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের এক পদ নীতি চালু হয়েছে। তারই ভিত্তিতে তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হতে পারে। আর সেই কারণে তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দী শচীন পাইলটকে প্রশাসন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। শচীন পাইলটের বদলে তাঁর অনুগত কাউকেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে ইচ্ছুক তিনি। আর সেইজন্যই তিনি ভিরত থেকে কলকাঠি নাড়ছেন। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

AI প্রযুক্তির উন্নতিতে জোর, ভারতকে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব মাইক্রোসফট সিইও-র
Kalyan Banerjee : 'SIR সংবিধান বিরোধী!' সংসদে বিরাট হুঙ্কার সাংসদ কল্যাণের, ঠিক কী বললেন?